শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’—এ প্রতিপাদ্যে আজ বুধবার পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিনটি।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালন করবে বিভিন্ন সংগঠন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

যেভাবে এলো নারী দিবস

১৮৫৭ সালের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা তাদের কাজের সময় ১২ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টায় কমিয়ে আনার দাবি এবং বৈষম্যহীন ন্যায্য মজুরি আদায়ের জন্য পথে নামেন। তাদের এ আন্দোলনে আটক হন অনেক নারী শ্রমিক। পরবর্তী সময়ে ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে বস্ত্র শিল্পের নারী শ্রমিকরা কাজের সুস্থ পরিবেশ, সময় ও যোগ্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করেন।

জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সে বছর সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজতান্ত্রিক দল পরের বছর, অর্থাৎ ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে নারী দিবস পালন করে। এর পর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। এতে অংশ নেন ১৭টি দেশ থেকে আসা ১০০ নারী প্রতিনিধি। সেই সম্মেলনে ক্লারা জেটকিন প্রতিবছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন। সম্মেলনে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯১১ সাল থেকে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণা আলোড়িত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে।

১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মান ও সুইজারল্যান্ডের এক মিলিয়নেরও বেশি নারী যোগদান করেন নারী দিবসের র‍্যালিতে। একই সঙ্গে এগিয়ে আসেন পুরুষরাও। তারা নারীদের ভোটদান ও সরকারি অফিসে কাজ করার অধিকার আদায়ের দাবিতে এই সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা জানান। ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যেতে থাকে নারী অধিকারবিষয়ক সচেতনতা। ১৯১৩ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে রাশিয়া ফেব্রুয়ারির শেষ রোববার পালন করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯১৪ সালের ৮ মার্চ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়ার দাবিতে ইউরোপে নারীরা র‍্যালি বের করেন। সে বছর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেই দিনটি পালন করা হয়।

১৯৭১ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম পালিত হয় নারী দিবস। পরে ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় নারী দিবস। সেই থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্বের সব নারীর জন্য রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.