শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
শায়েস্তাগঞ্জে ৩০তম বঙ্গবন্ধু কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত জিকে গউছের ৫৭তম জন্মদিন আজ -বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবনের অধিকারী দেশকে সবদিক থেকেই সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার-এমপি আবু জাহির মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে ১৩ জুয়ারি আটক সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার ওয়ারিশান ও এসএ খতিয়ান জ্বালিয়াতি বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করল পিবিআই দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ উদ্ধারের সময় বাস চাপায় নিহত ২

চুনারুঘাটে অনাবৃষ্টি আর ধর্মঘটে কমেছে চায়ের উৎপাদন

চুনারুঘাট প্রতিনিধি, দেশে ২০২২ সালে চায়ের রেকর্ড উৎপাদন হলেও হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের লস্করপুর ভ্যালীতে চায়ের উৎপাদন কমেছে। বছরের প্রথমার্ধে অনাবৃষ্টি ও বছরের শেষ দিকে গত আগস্টে চা–শ্রমিকদের পালন করা ধর্মঘটকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নতুন বছরে অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চায়ের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

লস্করপুর ভ্যালীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভ্যালীর ২৪টি চা বাগানে ১ কোটি ৩২ লাখ ৫ শ ১১ কেজি চা উৎপাদন হলেও ২০২২ সালে উৎপাদিত হয় মাত্র ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭ কেজি। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩০ লাখ ৩৫ হাজার কেজি কম। এ হিসেবে উৎপাদন কমেছে ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

চলতি ২০২২ সালে মওসুমের শুরুতেই খরার কবলে পড়ে ভ্যালীর ছোটবড় ২৪টি চা বাগান। এপ্রিল থেকে চায়ের মওসুম শুরু হলেও খরার কারণে চায়ের পাতা চয়ন কমে যায়। এরই মধ্যে আগস্ট মাসে টানা ২০দিন চা শ্রমিকরা বাগানগুলোতে অবরোধ পালন করে। এতে বড় ক্ষতির মধ্যে পড়ে ভ্যালীর ২৪টি চা বাগান।

এছাড়া রয়েছে রেড স্পাইডার ও হেলোফিলিটস মশার আক্রমণ। চায়ের মওসুম এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর নভেম্বর হলেও সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর এ ৪ মাসেই উৎপাদিত হয় ৬০ শতাংশ চা। কিন্তু আগস্ট মাসে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ২০দিন অবরোধের কারণে ভ্যালীতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ উৎপাদন কমে আসে।

চা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে করোনায়ও চায়ের উৎপাদন কমাতে পারেনি। কিন্তু চলতি বছর খরা, নানা রোগ এবং টানা অবরোধের কারণে উৎপাদন মারাত্মক হ্রাস পেয়েছে।

এছাড়া গত ১০ বছরেও চায়ের নিলামে মূল্য না বাড়ার কারণে ক্ষতির পরিমাণ বাড়লেও বাড়ছে না উৎপাদন। ২০২১ সালের ভ্যালীতে বৃষ্টি হয়েছে ১৭৭ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার কিন্তু ২০২২ সালে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে দাড়ায় ২১৪ দশমিক ২০ সেন্টিমিটারে। বৃষ্টির পরিমাণ পরিমিত না থাকা এবং অবরোধের কারণে চা উৎপাদন ব্যাহত হয়। ভ্যালীর অধিকাংশ চা বাগান চলতি বছর তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

ডানকান ব্রাদার্সের চান্দপুর বাগানে ৪৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আমু চা বাগানে ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ, লালচান্দ চা বাগানে ৩৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, দেউন্দি চা বাগানে ৩১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং লস্করপুর চা বাগানে ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশ চা কম উৎপাদন কম হয়েছে।

এ বিষয়ে চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও লস্করপুর ভ্যালীর সভাপতি ইউসুফ হোসেন খান জানান, আগস্ট মাসে টানা শ্রমিক অবরোধ আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এছাড়া বাগানে খরার পাশাপাশি রেডস্পাইডার, হেলোফিলট নামক মশার আক্রমণের কারণে চায়ের উৎপাদন কমে গেছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.