শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার ওয়ারিশান ও এসএ খতিয়ান জ্বালিয়াতি বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করল পিবিআই দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ উদ্ধারের সময় বাস চাপায় নিহত ২ হবিগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপার ঘটনায় নবদম্পতিসহ একই পরিবারের ৬ জন নিহত বানিয়াচংয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত নবীগঞ্জে প্রথমবারের মতো লটারির মাধ্যমে কৃষকের তালিকা করা হলো

জনবল সংকটে স্থবির লাখাইয়ের মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জের লাখাইয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে পড়ছে এর প্রভাব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাখাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংকটে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। এতে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা। লোকবলের অভাবে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন ও মনিটরিং কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ১১টি মাধ্যমিক, ২টি মাদ্রাসা ও ২টি কলেজ রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ দপ্তরটিতে ৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২ জন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদটি গত বছরের জুলাই মাস থেকে শূন্য। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন কুমার দে’র মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া পদটি অদ্যাবধি পূরণ করা হয়নি। বর্তমানে একাডেমিক সুপারভাইজার জান্নাতুন নাহার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আরেকজন রয়েছেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। বাকি পদগুলো শূন্যই রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত।

জানা গেছে, শূন্য পদগুলো পুরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও কোনো ফল হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজার জান্নাতুন নাহার বলেন, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে দাপ্তরিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সভায় যোগ দিতে হয়। তারপরও সবকিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শূন্য হয়ে থাকা পদ পূরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে দিয়েছি। এই সেবার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েরা আরো যেন আকৃষ্ট হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে আরও বেশি নিয়োজিত হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা নার্সদের কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

আমরা প্রায় ৪০ হাজারের মতো নার্স নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বয়স ছিল না তবে অভিজ্ঞ হিসেবে আমরা ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যাতে তারা সেবাটা দিতে পারেন। তার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছি।

তিনি আরো বলেন, মানুষের সেবা করার দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ২৩টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করেছি। আরো ১৬টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করার প্রক্রিয়া রয়েছে। আমরা প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি। এর সঙ্গে সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

এসময় সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এরইমধ্যে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.