শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৮ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
শায়েস্তাগঞ্জে ৩০তম বঙ্গবন্ধু কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত জিকে গউছের ৫৭তম জন্মদিন আজ -বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবনের অধিকারী দেশকে সবদিক থেকেই সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার-এমপি আবু জাহির মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে ১৩ জুয়ারি আটক সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার ওয়ারিশান ও এসএ খতিয়ান জ্বালিয়াতি বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করল পিবিআই দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ উদ্ধারের সময় বাস চাপায় নিহত ২

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণ

ড. মোহাম্মদ আবু তাহের
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার অসাধারণ কয়েকটি চরণ দিয়েই শুরু করছি। কবি পরিবেশ প্রতিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রকৃতির কাছে অনুযোগ করেছিলেন-‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো। তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ তুমি কি বেসেছ ভালো? কবির এই উচ্চারণে বহু বছর পর যখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের পরিবেশ-প্রতিবেশ মানুষের বহুমুখী আচার অত্যাচারে বিপন্ন তখন দেখা যাচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হলেও মানুষের অধিকারকে আচরণ ও অবহেলার কারণে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে তার চারপাশের পরিবেশ। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বাংলাদেশে পরিবেশের অবক্ষয় ও দূষণ একটি বড় সমস্যা। উপর্যুপরি বন্যা,খড়া ও ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলবায়ু ও আবহাওয়ার অস্থিরতা সহ অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যা এখন মানুষের নিত্যপাঠ। এসবের মূলে মানুষের কর্মকান্ডই প্রধানত দায়ী। যথেচ্ছা বৃক্ষ নিধন, অধিক জনসংখ্যা, দারিদ্র, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, জোড়ালো শব্দের হর্ণ, আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানা ও ইট ভাটার অবস্থান ইত্যাদি পরিবেশকে দূষিত করছে। পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যেই আছে। জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি এখন হুমকির মুখে। দেশে এখনও বন্ধ হয়নি পলিথিনের ব্যবহার। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবহারের কারণে পরিবেশের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীনতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু মানুষ নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করে চলছে। পলিথিন ব্যবহার করে যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া হচ্ছে। সেগুলো পানিবাহিত হয়ে ড্রেনে গিয়ে পড়ছে। ক্রমাগতভাবে ড্রেন বন্ধ হয়ে এক সময় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মারাত্নকভাবে। বায়ূদূষণে ফিটনেসবিহীন যানবাহন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এসব নিম্নমানের গাড়ী আমাদের পরিবেশকে ধুলিময় করে তোলে যা মানবস্বাস্থের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ীগুলো নিয়ন্ত্রণ করা দূরূহ হওয়ায় মারাত্নক দুর্ঘটনায় প্রায় প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্পদ ও প্রাচুর্যে পিছিয়ে থাকলেও বিশ্বের উন্নত দেশ সমূহকে পিছনে ফেলে শান্তিপ্রিয় মানুষের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভুটান। সেই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আইন মেনে চলার প্রবণতা খুব বেশী। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যত জনবহুল জায়গাই হোক, সবখানেই নিরবতা একটা শান্তি শান্তি ভাব, কোথাও ধুলাবালি কিংবা ময়লা আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায় না। এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভুটানে কঠোর আইন রয়েছে। আইনের বাস্তবায়ন রয়েছে। ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ফেললে মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হয়। বিপন্ন পরিবেশের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ১৯৭২ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মানব পরিবেশ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পরিবেশের অবনতির জন্য প্রধান দুটি কারণকে চিহ্নিত করা হয়। কারণ দুটি হলো-১. উন্নত দেশ গুলোতে অপরিকল্পিত আর্থিক উন্নয়ন, অতিভোগ ও অপব্যয়, ২. উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে বিরাজমান দারিদ্র। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনিরো শহরে ধরিত্রী শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য শিল্পোন্নত দেশের অভিযোগ ও উন্নয়নশীল দেশের চরম দারিদ্রদের কথাই পুনরায় বলা হয়। এতে বোঝা যায়, পৃথিবীর আর্থিক ও সামাজিক ভারসাম্য পুনরূদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিপন্ন পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।

জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপদাহ। যার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা দুষছেন মানুষের সৃষ্ট বিপর্যয়কে। বর্তমান বিশ্বের উষ্ণতার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন কয়লা, তেল ও গ্যাস ফোরানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড নাইট্রাস অক্সাইড উৎপন্ন হচ্ছে। অপরদিকে গাছ বায়ুমন্ডল থেকে প্রতিনিয়ত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রাস অক্সাইড শোষণ করে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু মানুষ মানুষ দিন দিন বন উজাড় করে চলেছে। ফলে বিষাক্ত গ্যাস শোষণের সম্ভাবনা রূপ নিয়েছে সংকটে। যার প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় ১৯৪৮ থেকে ২০২২ সালের আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৭০ থেকে ৭৪ বছরের ইতিহাসে জুলাই(২০২২) মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু বাংলাদেশ নয় ইউরোপসহ অর্ধেক পৃথিবীই এখন দাবদাহ দাবানলে। যুক্তরাজ্য সহ পাঁচটি দেশে ইতোমধ্যে জরুরী অবস্থাও জারি করা হয়েছে।

এখন পৃথিবীতে চলছে অন্যরকম পরিস্থিতি। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে পৃথিবীর মানুষ আক্রান্ত। লক্ষ লক্ষ মানুষ অদেখা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় নতুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে বায়ুদূষণে করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশী। বায়ুদূষণ শ্বাসকষ্ঠজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়, যা করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর জন্য মারাত্মক হতে পারে। এই ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুহারের সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে বলে এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। গবেষকরা দাবি করেছেন দেশজুড়ে বিষাক্ত বায়ুস্তরের বিশাল পার্থক্যের পরিপ্রেক্ষিতে গবেষণাটি প্রমাণ করেছে যে দূষিত বায়ু অঞ্চলের লোকের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম দূষিত বায়ু অঞ্চলে বসবাসকারীদের মারা যাওয়ার আশংকা কম। ইতালির পরিস্থিতি নিয়ে গবেষকরা পৃথক একটি গবেষণা করেছেন। ওই গবেষণায় দেখা গেছে দেশটির উত্তরাঞ্চলে উচ্চ মৃত্যু হারের সঙ্গে বায়ুদূষণের সর্বোচ্চ স্তরের বিষয়টি সম্পর্কিত।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবছর যতো মানুষের মৃত্যু হয় তার ২৮ শতাংশই মারা যায় পরিবেশ দূষণজনিত অসুখ বিসুখে। কিন্তু সারা বিশ্বে এ ধরণের মৃত্যুর গড় মাত্র ১৬ শতাংশ। পরিবেশ দূষণের কারণে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও এখন হুমকির মুখে। এজন্য বিশ্বব্যাংক জলাভূমি দখল ক্ষতিকর বর্জ্য ঠিকমত না ফেলা ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়েছে। বেশ কয়েকবছর পূর্বে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রকাশিত বিশ্বের ৯০ জন পরিবেশ বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রস্তুতকৃত এক বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকার কথা বলা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আবহাওয়া চরম আকার ধারণ করবে, তীব্রমাত্রার সাইক্লোন হবে। ফলে খাদ্য উৎপাদন জীবিকা ও অবকাঠামো হুমকির মুখে পড়বে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই বেশী ক্ষতির শিকার হবে। এতে আরও বলা হয়, ২০৫০ সালে সিডর এর মতো সাইক্লোনে তিন মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এতে প্রায় ৯৭ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়তে পারে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে গরীবরাই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ফসল উৎপাদন কমে যেতে পারে, ফলে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন বাড়তে পারে। এজন্যই এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে পরিবেশের উন্নয়নে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য। জলবায়ূ পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ও পরিবেশের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে। বৃক্ষনিধন, প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট থেকে বিরত থাকতে হবে। কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার কীটনাশক ব্যবহার কমাতে হবে। নদীনালা খালবিলে শিল্প ও পয়োবর্জ্য ফেলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। শিল্পকারখানায় উৎপাদিত বর্জ্যগুলোকে উৎপাদনশীল উপকরণে পরিণত করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ন করতে হবে। দেশের সর্বত্র বেশী করে বনজ, ফলজ বৃক্ষরাজি সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করে তুলতে হবে। ইউনিসেফের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ শিশু যাদের বসবাস বাংলাদেশের নদীতীরবর্তী এলাকায়। তাদের ক্ষেত্রে নদীভাঙ্গন একটি নিয়মিত ব্যাপার।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ণে সুপারিশ সমূহ-
(১) সব জাতীয় সম্পদের টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশ বান্ধব ব্যবহার বিষয়ে সমন্বিত সচেতনতার জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত জ্ঞান ও আইন সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ।
(২) গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে এবং এনজিও গুলোর মাধ্যমে জনগনের সচেতনতা তৈরীর কাজ অব্যাহত রাখা।
(৩) পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ীদের বিরূদ্ধে ত্বরিত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে পরিবেশ আদালত স্থাপন।
(৪) প্রতিটি বিভাগে একটি করে পরিবেশ আপীল আদালত স্থাপন।
(৫) পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(৬) অবৈধ পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধে সারাদেশে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অভিযান জোরদার করতে হবে।
বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যায় যখন বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে স্বপ্ন দেখি তখন আমরা আশাবাদী হই। যখন নোবেল বিজয়ী অমর্ত্যসেন বাংলাদেশের প্রশংসা করেন, যখন বলেন মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ভালো করছে। যখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও বাংলাদেশের প্রশংসা করে, যখন আমরা দেখি আমাদের দেশের গড় আয়ু ভারতের চেয়ে ভালো, পাকিস্তানের চেয়ে অনেক উপরে তখন আমাদের আনন্দের সীমা থাকে না। আবার যখন সংবাদপত্রে দেখি ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বসবাস অযোগ্য শহর, তখন স্বাভাবিকভাবেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের দেশের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।

রবীন্দ্রনাথের আরেকটি কবিতার কয়েকটি লাইন দিয়ে লেখাটি শেষ করছি-
বীরের এ রক্তস্রোত মাতার এ অশ্রুধারা
এর যত মূল্য সেকি ধরার ধূলায় হবে হারা?
স্বর্গ কি হবেনা কেনা
বিশ্বের ভান্ডারী শুধিবেনা এতো ঋণ?
রাত্রীর তপস্যা সেকি আনিবে না দিন।

লেখক:- ব্যাংকার, গবেষক ও কলামিস্ট

E-mail:taherpbl@gmail.com

Mobile: 01711-137298

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.