বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

জুড়ীর কাশ্মীর টিলা নজর কাড়ছে পর্যটকদের

জুড়ী প্রতিনিধি: পাথারিয়া হিল ফরেস্টের অধিভুক্ত সবুজ টিলা। পুরো টিলা জুড়ে সবুজের হাতছানি। তিনদিকে ঢেউয়ের মতো টিলা আর অন্যদিকে ফরেস্টের সেগুন গাছ। এই টিলার ওপর থেকে চারদিকের বিস্তৃত জায়গা দেখতে লাগে অপরূপ। এই টিলার অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজেলায়। যা স্থানীয়ভাবে কাশ্মীর টিলা নামে পরিচিত। যা নজর কাড়ছে পর্যটকদের।

প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা এই স্থানটির দৃশ্য যেকোনো প্রকৃতিপ্রেমীর নজর কাড়ে। জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গোলালবাড়ী ইউপির শুকনা ছড়ায় অবস্থিত টিলাটি দেখতে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়।

পর্যটকরা জানান, এখানকার সৌন্দর্য্য দেখতে অপরূপ লাগে। ঘাসগুলো দেখে মনে হয় সুন্দর করে বিছানো হয়েছে। আর পাশের সেগুন বাগান আরো মুগ্ধ করে যেকোনো প্রকৃতিপ্রেমীকে।

অনলাইন এক্টিভিটিস আবিদ হোসাইন বলেন, পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা জুড়ীর কাশ্মীর টিলা। ঈদ বা যেকোন সময় পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায় এখানে। রমজান মাসে অনেকেই এখানে এসে প্রকৃতির স্নিগ্ধ বাতাসে নিজেকে মিশিয়ে ইফতার করেন এবং  ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন।

স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুড়ীর সময়ের সহযোগী সম্পাদক সাইফুল্লাহ হাসান বলেন, জুড়ী উপজেলায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক বছর থেকে কাশ্মীর টিলা পর্যটকদের নজর কাড়ছে। এখানে সবুজ টিলা, গাছের সবুজ সারি ও পাখির কলকাকলীতে মন ভরে যায়। প্রতিনিয়ত এখানে পর্যটক আসায় জায়গাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন, বর্তমানে জুড়ীতে সুনির্দিষ্ট পর্যটন স্পট নিয়ে কাজ চলছে না। তবে লাঠিটিলা সাফারি পার্ক একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। পরিবেশমন্ত্রী এটা নিয়ে কাজ করছেন। সার্বিকভাবে দেশব্যাপী পর্যটন নিয়ে যে কাজ চলছে সেরকম কাজ জুড়ীতে হচ্ছে। আর জুড়ী উপজেলা পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনা।

তিনি আরো বলেন, কাশ্মীর টিলার নাম শুনেছি। এখনও সেখানে আমার যাওয়া হয়নি। শুনেছি জায়গাটি খুব সুন্দর।

কাশ্মীর টিলা যাবেন যেভাবে: মৌলভীবাজার থেকে জুড়ী বাজারে আসার পর কচুরগুল অথবা লাঠিটিলার গাড়িতে চড়ে যেতে হবে কালামাটি পর্যন্ত (দূরত্ব সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার হবে)। সেখানে একটা চায়ের স্টল আছে। সেখানে কাশ্মীর টিলার কথা জিজ্ঞেস করলে মানুষ দেখিয়ে দেবে যাওয়ার রাস্তা। হেঁটে যেতে হবে সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের পথ। আর মোটরসাইকেল অথবা গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়ে গেলে সরাসরি মূল জায়গা পর্যন্ত যাওয়া যায়।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.