ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, আহত ৯ সাংবাদিক

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বর এলাকায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও অন্তত নয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাবির ভিসি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করায় আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত নয় সাংবাদিক। একইসঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন আফসানা জুঁই ও আব্দুল হান্নান মাসুদ। তারা জানান, গায়েবানা জানাজা শেষে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কফিন মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে দুইদিক থেকে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।আহত সাংবাদিকেরা হলেন- যমুনা টিভির রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ী, কালবেলার আকরাম হোসাইন ও জনি রায়হান, আজকের পত্রিকার মোজো রিপোর্টার শাবিব, এসএ টিভির মোজো রিপোর্টার রহমত উল্লাহ, চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক সুলাইমান কবির, আলোকিত প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ও নিউজ প্রভাতের নিজস্ব প্রতিবেদক হুমায়ুন আহমেদ।

এ ছাড়া, একই এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সময় টিভির চিত্রগ্রাহক রতন।

এর আগে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম দফায় ও দ্বিতীয় দফায় ভিসি চত্বরের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়েন। এরপর তারা কফিন মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর থেকে টিএসসির দিকে রওনা দিলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

তারও আগে, টিএসসি এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেনসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আটক করার সময় অন্তত ৫টি সাইন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায় পুলিশ।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
২৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, আহত ৯ সাংবাদিক

আপডেট সময় ০৭:২২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বর এলাকায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও অন্তত নয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাবির ভিসি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করায় আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত নয় সাংবাদিক। একইসঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন আফসানা জুঁই ও আব্দুল হান্নান মাসুদ। তারা জানান, গায়েবানা জানাজা শেষে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কফিন মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে দুইদিক থেকে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।আহত সাংবাদিকেরা হলেন- যমুনা টিভির রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ী, কালবেলার আকরাম হোসাইন ও জনি রায়হান, আজকের পত্রিকার মোজো রিপোর্টার শাবিব, এসএ টিভির মোজো রিপোর্টার রহমত উল্লাহ, চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক সুলাইমান কবির, আলোকিত প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ও নিউজ প্রভাতের নিজস্ব প্রতিবেদক হুমায়ুন আহমেদ।

এ ছাড়া, একই এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সময় টিভির চিত্রগ্রাহক রতন।

এর আগে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম দফায় ও দ্বিতীয় দফায় ভিসি চত্বরের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়েন। এরপর তারা কফিন মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর থেকে টিএসসির দিকে রওনা দিলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

তারও আগে, টিএসসি এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেনসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আটক করার সময় অন্তত ৫টি সাইন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায় পুলিশ।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।