বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৫ অপরাহ্ন

নবীগঞ্জে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের চরম ভোগান্তিতে ২ লক্ষাধিক গ্রাহক।।

সলিল বরণ দাশ, নবীগঞ্জ থেকেঃডিজিটাল বাংলাদেশের এই সময়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের বসবাস।এদের মধ্যে প্রায় ০২ লক্ষাধিক মানুষ গ্রামীন ফোনের গ্রাহক।বিশেষ করে নবীগঞ্জ পৌরসভার সদর সহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকার গ্রাহকেরা কথাবলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গত কিছু দিন যাবৎ গ্রামীণ ফোন নেটওয়ার্কের ব্যবহারে ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা । বিদ্যুৎ চলে গেলে নেটওয়ার্ক প্রায়ই সমস্যা করে। ফলে গ্ৰামীনফোন গ্ৰাহকদের কলড্রপের সমস্যায় পড়তে হয়, এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক ব্যাবহারকারীরা।

দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হওয়ায় বেশীর ভাগ মানুষ গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্কেই আবদ্ধ। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে গ্রামীনফোন। সাধারন মানুষের দুর্বলতাকে পুজি করে বীরদর্পে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও গ্রাহক সেবার মান বাড়েনি বলে মনে করছেন এর গ্রাহকরা। ফলে নানা কারনে অতিষ্ঠ হয়ে অন্য অপারেটরের দিকে ঝুকলেও নাম্বার পরিবর্তনের সমস্যায় সেটি পারছে না। এদিকে নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সী না বাড়িয়ে একের পর এক টাওয়ার নির্মান করায় নেটওয়ার্কের এই দুর্বলতা বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

বেশীরভাগ মানুষ গ্রামীন ফোনের গ্রাহক হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই নানান সমস্যায় জর্জরিত। শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় গ্রাহকরা কথা ঠিকমতো শুনতে পারছেন না। অনেক সময় কল কেটে যাচ্ছে। আবার দীর্ঘক্ষন চেষ্টা করেও লাইন পাওয়া যায়না। এছাড়া বিকাশ, এম ক্যাশ, ইউ ক্যাশ ট্রান্সপারেও ব্যাপক ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। উপজেলার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দোকানগুলো, বিভিন্ন অফিসসহ সাধারন মানুষ যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের ভোগান্তীর যেন শেষ নেই। বর্তামানে অফিসিয়াল সকল কাজকর্ম, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার প্রায় কাজগুলো অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভোক্তাগন ব্যাপক হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন।

নবীগঞ্জের ফোন ব্যবসায়ী ও গ্রাহক আমিনুল ইসলাম বলেন আমার বাসার উপরে গ্রামীন ফোনের টাওয়ার থাকা সত্বেও আমি নিজেই ভালোভাবে গ্রামীন নেটওর্য়াক ব্যবহার করতে পারিনা অন্যদের কথা কি বলবো।

নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলে নেটওয়ার্ক ধীরগতির কারণে আমাদের ফোন ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যের ব্যাঘাত ঘটে। তাই গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা জরুরি।

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাকিল হোসেন বলেন আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা ঠিক মতো সংবাদ মাধ্যমের কাজ করতে পারছি না গ্রামীন ফোনের দূর্বল নেটওয়ার্কের জন্য।

নবীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বলেন, বর্তমান ডিজিটাল সময়ে বাংলাদেশের এক নম্বর মোবাইল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক সমস্যা মেনে নেওয়া যায় না।

এব্যাপারে গ্রামীণফোন হবিগঞ্জ জেলার এরিয়া ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম খোকন জানান,গত কিছু দিন যাবৎ নবীগঞ্জ গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছিল বলে অভিযোগ এসেছে। আমরা নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার জন্য যাবতীয় কাজ চলছে । আশাকরি কিছু দিনের মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যাবহার কারীগন আর ভোগান্তিতে পড়বেন না। নবীগঞ্জ গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক ধীরগতির সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।

এছাড়া গ্রামীণফোনের এই অব্যবস্থাপনার স্বীকার প্রবাসী অধিষ্যুত উপজেলার শতাধিক ইন্টারনেট নির্ভর সাইবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীরা। অতি দ্রুত এই নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান না করা হলে অনেক আস্থার নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোনকে অনাস্থা জানাবেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.