ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিকলীতে ৫ লাখ টাকার নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নদী-নালা- খাল-বিল ধ্বংস ও শিকারি কর্তৃক নিষিদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে ফাঁদ তৈরির কারণে দেশে প্রতিনিয়ত কমছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে অভিযান পরিচালনা করে ৫ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিকালে নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাওরে এ অভিযান শেষে বিকেল ৩টায় উপজেলা চত্বরের কাছে বেড়িবাঁধে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারণে দিনদিন হাওরে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এর মাঝে অন্যতম নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি (রিং) জাল। সম্প্রতি চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহারের ফলে হাওরের মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কারেন্ট জাল ও চায়না জালের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। মঙ্গলবার হাওরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শতাধিক চায়না জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় অবৈধ এবং নিষিদ্ধ জাল বিক্রি ও ব্যবহার করা আইনত অপরাধ। অবৈধ এসব জালের ব্যবহার বন্ধ করতে হাওরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
২৫ বার পড়া হয়েছে

নিকলীতে ৫ লাখ টাকার নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

আপডেট সময় ০৮:০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

নদী-নালা- খাল-বিল ধ্বংস ও শিকারি কর্তৃক নিষিদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে ফাঁদ তৈরির কারণে দেশে প্রতিনিয়ত কমছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে অভিযান পরিচালনা করে ৫ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিকালে নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাওরে এ অভিযান শেষে বিকেল ৩টায় উপজেলা চত্বরের কাছে বেড়িবাঁধে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারণে দিনদিন হাওরে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এর মাঝে অন্যতম নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি (রিং) জাল। সম্প্রতি চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহারের ফলে হাওরের মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কারেন্ট জাল ও চায়না জালের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। মঙ্গলবার হাওরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শতাধিক চায়না জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় অবৈধ এবং নিষিদ্ধ জাল বিক্রি ও ব্যবহার করা আইনত অপরাধ। অবৈধ এসব জালের ব্যবহার বন্ধ করতে হাওরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত থাকবে।