শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার ওয়ারিশান ও এসএ খতিয়ান জ্বালিয়াতি বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করল পিবিআই দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ উদ্ধারের সময় বাস চাপায় নিহত ২ হবিগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপার ঘটনায় নবদম্পতিসহ একই পরিবারের ৬ জন নিহত বানিয়াচংয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত নবীগঞ্জে প্রথমবারের মতো লটারির মাধ্যমে কৃষকের তালিকা করা হলো

বানিয়াচংয়ে তিন মাসের বকেয়া বেতন চেয়ে খুন হলেন যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পাওনা তিন মাসের বেতন চাইতে গিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন

আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোজাম্মিল হোসেন ও হাফিজুল নামে দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত মোশাহিদ মিয়া উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার পুত্র। রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার (ওসি) মো. এমরান হোসেন জানান, দত্তপুর গ্রামের আব্দুল কাদির নামে এক ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর বাইপাস রোড এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ভাঙারির দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন নিহত মোশাহিদ মিয়ার ফুফাতো ভাই হাফিজুল। গত ৩ মাস যাবত ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির হাফিজুলের প্রতি মাসের বেতন ১২ হাজার টাকা করে মোট ৩৬ হাজার টাকা দেয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সালিশ বৈঠকে হাফিজুলের ৩৬ হাজার টাকা দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। রোববার এ বিষয়ে নিয়ে আবারো গ্রামের বাড়িতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সুজাতপুর ফাঁড়ি পুলিশ ও বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গুরুতর আহত অবস্থায় মোশাহিদকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও রায়হান মিয়া, ডালিম আহমেদ, সালমা বেগম, জুয়েল মিয়া, ছবুর আহমেদ, রেজাক মিয়াসহ অন্তত ১৫ জনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.