শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে ১৩ জুয়ারি আটক সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার ওয়ারিশান ও এসএ খতিয়ান জ্বালিয়াতি বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করল পিবিআই দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ উদ্ধারের সময় বাস চাপায় নিহত ২ হবিগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপার ঘটনায় নবদম্পতিসহ একই পরিবারের ৬ জন নিহত

মাধবপুরে ‘ফিল্টার’ শিল্পের সেই সুদিন আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাবার পানিকে বিশুদ্ধ রাখতে বেশ জনপ্রিয় ছিল পানি ‘ফিল্টার’। এ শিল্পের জন্য এক সময় বিখ্যাত ছিল মাধবপুর। মূলত পাথর, লাইমস্টোন পাউডার, সিমেন্ট, বালি, আর  মোজাইক মিশ্রণ দিয়ে তিন স্তরবিশিষ্ট ফিল্টার বানাতে গিয়ে দম ফেলার ফুরসৎ পেতেন না শ্রমিকরা। পরবর্তী সময়ে এতে টাইলস লাগানো হয়।

পানি ফিল্টারের প্রচার ও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে অফিস আদালতে ও আবাসিক ভবনে পানি ফিল্টারের সরবরাহ ব্যাপক বেড়ে যায়। দামে সস্তা, মানে উন্নত বলে বিভিন্ন জেলা থেকে অগ্রিম চাহিদা জানিয়ে নির্ধারিত সময়ে নিজেরা এসে ফিল্টার ডেলিভারি নিতেন। কিন্তু বর্তমানে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ফিল্টার বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। শ্রমিক সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি, কঠিন প্রতিযোগিতা বিলুপ্ত হতে চলেছে ফিল্টার শিল্পের খ্যাতি।  মাধবপুর পৌরসভার অমিত ফিল্টারের মালিক পরিতোষ রায় জনকণ্ঠকে জানান, ১৯৪৭ সালে সর্বপ্রথম হীরালাল রায় এ ফিল্টার আবিষ্কার করেন। খাবার পানিকে বিশুদ্ধ ও ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকর এ বিশেষ ধরনের পানির ফিল্টার, পাথর, লাইমস্টোন পাউডার, সিমেন্ট ও বালি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি। বর্তমানে এতে টাইলস লাগানো হচ্ছে। দামে সস্তা, মানে উন্নত বলে দ্রুত এক জেলা থেকে অন্য জেলায় এ ফিল্টার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে শ্রমিক সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, উপকরণের দাম বৃদ্ধি, বাজারে প্রতিযোগিতা ও স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ফিল্টার বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। এসব কারণে মাধবপুরের ফিল্টার এখন প্রায় উঠে যেতে বসেছে। বাবা ও দাদার ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে কোনো রকম এ পেশাকে ধরে রেখেছি।

জানা যায়, মাধবপুর উপজেলায় এখনও ছোট বড় ২২টি ফিল্টার তৈরি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কমপক্ষে ২ শতাধিক লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। দিন দিন এ শিল্পের অবনতি দেখে ভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছেন মালিকরা। ইসলামিয়া ওয়াটার ফিল্টারের খলিল মিয়া জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। করোনা মহামারির পর থেকে এ শিল্পের কোনো উন্নতি নেই। পপি ওয়াটার ফিল্টারের লিটন বিশ্বাস জনকণ্ঠকে জানান, ফিল্টারের উপকরণের দাম যেভাবে বাড়ছে তেমনিভাবে কমছে ফিল্টার বিক্রির চাহিদা তাতে ব্যবসা চালানো খুব কষ্টকর। শ্রমিক ও অর্থনৈতিক সংকট, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ফিল্টার উৎপাদন অনেক হ্রাস পেয়েছে। সরকার দেশীয় এ শিল্পকে ধরে রাখার উদ্যোগ নিলে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে অর্থনীতিতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত । মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান বলেন, মাধবপুর পানি ফিল্টার শিল্পের  দেশব্যাপী খ্যাতি আছে। দেশীয় এ শিল্পকে ধরে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.