শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
লাখাই প্রেসক্লাব এর ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরে যারা শাহাদাত বরণ করেন জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: প্রতিমন্ত্রী মাধবপুর প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল হবিগঞ্জে র‌্যাব এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ট্রেনের টিকেটসহ চক্রের ৩ জন গ্রেফতার সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন আজমিরীগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শালিকে কোপাল দুলাভাই শহীদ মিনার নয়, যেন ডেটিং পার্ক! নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বালিচাপা দিল ইসরায়েলি সেনারা একনেকে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

লাখাইয়ে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদমিনার

লাখাই প্রতিনিধি,হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদমিনার। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর অতিক্রান্ত হলেও অদ্যাবধি লাখাইয়ের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদমিনার নির্মাণ হয়নি।

ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদমিনার নির্মিত না হওয়ায় তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না শিক্ষার্থীরা। জানতে পারে না শহিদদের আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস।

শহিদমিনার না থাকায় এ উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে অনেকটা দায়সারাভাবে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৮৭টি। এর মধ্যে শহিদমিনার রয়েছে মাত্র ২৫টিতে। ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদমিনার রয়েছে ১৮টিতে। মাধ্যমিকের ১১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদমিনার রয়েছে ৭টিতে।

লাখাইয়ের একমাত্র সরকারি কলেজ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজে অদ্যাবধি শহিদমিনার নির্মাণ হয়নি। উপজেলার ২টি কলেজের কোনোটিতেই শহিদমিনার নেই। শহিদমিনার নেই ২টি মাদ্রাসায়ও।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, সকল বিদ্যালয়ে শহিদমিনার থাকা উচিত। আমাদের ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮টিতে শহিদমিনার রয়েছে। আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। শহিদমিনার তৈরির জন্য আলাদা কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। তবুও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে আরও ১০টি বিদ্যালয়ে শহিদমিনার স্থাপন করতে পারি।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজার জান্নাতুন নাহার বলেন, সকল বিদ্যালয়ে শহিদমিনার থাকা উচিত। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে প্রতিটি বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসায় শহিদমিনার স্থাপন করা যায়।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.