শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
তাপপ্রবাহের কারণে সব স্কুল-কলেজ সাত দিন বন্ধ ঘোষণা বৃন্দাবন কলেজে জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপনের ঘোষণা-এমপি আবু জাহির শায়েস্তাগঞ্জে ৩০তম বঙ্গবন্ধু কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত জিকে গউছের ৫৭তম জন্মদিন আজ -বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবনের অধিকারী দেশকে সবদিক থেকেই সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার-এমপি আবু জাহির মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে ১৩ জুয়ারি আটক সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার

সালমান শাহ হত্যা: চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর আইনজীবীর নারাজি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণের ওপর নারাজি দিয়েছেন আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। একই সঙ্গে ভার্চুয়ালি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বিষয়টি জানিয়েছেন।এদিন ৩১ আগস্ট মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। মামলার বাদী সালমান শাহের মা প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। এরপর আদালত শেষ বারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩১ অক্টোবর নতুন এ দিন ধার্য করেন।

রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রথমে এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি। এ অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। পরে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।

তবে সিআইডির এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সালমানের পিতা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক।

ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। এরপর পিবিআই তদন্ত করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি।প্রতিবেদন তুলে ধরে পিবিআই প্রধান বলেন, তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনার সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে সালমানের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা, স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ, মাত্রাধিক আবেগপ্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়া বা আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেয়া এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.