বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
রাজনগর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর শায়েস্তাগঞ্জ ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক ভিডিওকলে মাধবপুরের রেহানাকে বাঁচানোর আকুতি, ‘আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না’ মৌলভীবাজারে চা-শ্রমিকের ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় এমপি কেয়া চৌধুরী আড়াই কোটি টাকার সার-বীজ বিনামূল্যে বিতরণ সার চাওয়ায় কৃষকদের হত্যা করে বিএনপি -এমপি আবু জাহির উপজেলা নির্বাচনে নবীগঞ্জে ১৯ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা নিয়মিত খেলাধূলা আয়োজনে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে-এমপি আবু জাহির দেশে হিটস্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সিলেটে রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল মসলা, বড় জরিমানা

সিলেট প্রতিনিধি:কাঠের গুড়ার সঙ্গে লাল রং মিশিয়ে মরিচের গুড়া, ধানের কুঁড়ার সাথে বাসন্তি (হলুদ) রং মিশিয়ে হলুদের গুড়া আর চালের গুড়ার সাথে বাদামি রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় ধনিয়া গুড়া। রাতভর চলে এই ভেজাল মসলা তৈরির কার্যক্রম। ভোররাতে ট্রাক আর মিনি ট্রাকে লোড করে পাঠিয়ে দেয়া হয় সিলেট বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা আর আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে একটি জীর্ণ-শীর্ণ টিনের ঘরে প্রায় ৫ বছর ধরে চলে আসছিল এই মসলা তৈরির কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর ও র‌্যাব যৌথভাবে অভিযান চালায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে ‘ঝর্ণা মসলা মিল’ নামের ওই ভেজাল মসলা তৈরির কারখানায়। ভোক্তা অধিদপ্তর ও র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনের ডোবায় নেমে অধিকাংশ শ্রমিক সাঁতরে পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যান ফজলুল হক নামের এক শ্রমিক।

ধরা পড়ার পর ওই শ্রমিক সকল অপকর্মের কথা স্বীকার করেন ও কারখানটির মালিক সম্পর্কে সকল তথ্য প্রদান করেন। কারখানার মালিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেটের বাইরে আছেন জানিয়ে তার ভাইকে কারখানায় পাঠান।

কারখানার মালিকের ভাইয়ের উপস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪২ ধারায় কারখানাটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ কারখানায় আর কোনো ভেজাল মসলা উৎপাদন করা হবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।

অভিযান চলাকালে কারখানাটিতে ২০০ বস্তা ভেজাল মসলা ও ১২ ব্যাগ ক্ষতিকর রাসায়নিক রং পাওয়া যায়। এ সময় এলাকাবাসীর উপস্থিতে সকল মসলা ও রং ধ্বংস করা হয়।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে র‌্যাব-৯ এর একটি টহল টিম। এ সময় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.