শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ সীমান্তে পাথর কোয়ারীতে মাটি চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে কোয়ারীর করে পাথর উত্তোলনের সময় কোয়ারীর মাটি চাপায় এক যুবক নিহত হয়েছে।

নিহত যুবক আজহারুল ইসলাম (৩০) উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের নুর সালামের ছেলে।

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার সময় উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের জাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকার বড়টেক পাকা রাস্তার-শিমুল বাগান নামক এলাকার ক্যাফাজুল ও রানু মিয়া কোয়ারীতে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, জাদুকাটা নদীতে পাথর উত্তোলনে সরকারি বিধিনিষেধ থাকা শর্তেও ঘাগটিয়া গ্রামের রানু মিয়া (৩৮) ও নুর সালামের ছেলে ক্যাপাজুলসহ ১০/১২ জনের একটি পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্রের নেতৃত্বে গত একমাস ধরে জাদুকাটা নদীর পাকা রাস্তার মাথা এলাকায় নদীর পাড় কেটে প্রায় ১০/১২ টি অবৈধভাবে পাথর কোয়ারী করে পাথর উত্তোলনের ধারাবাহিকতায় রবিবার সকাল থেকে শতাধিক শ্রমিক ওই সব অবৈধ পাথর কেয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করে আসছে।

পরে বিকাল সাড়ে ৩টার শ্রমিকরা পাথর উত্তোলনের সময় হঠাৎ করেই পাথর কোয়ারীর পাড় ভেঙে কোয়ারীতে পাথর উত্তোলনের কাজে থাকা শ্রমিক আজহারুল ইসলাম উপর পড়লে এসময় মাটি নিচে চাপা পাড়ে যায়। এ সময় ওই কোয়ারীতে থাকা অন্য শ্রমিকদের চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন ও নদীতে কাজ করতে আসা বারকী শ্রমিকরা মাটির নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাদাঘাট বাজারের লাইফ কেয়ার ডায়গনিস্টিক সেন্টার নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে ঘাগটিয়া গ্রামের নুর সালামের ছেলে ক্যাফাজুল ও রানু মিয়া ওইসব অবৈধ বালু-পাথর কেয়ারী থেকে পাথর বোঝাই প্রতি বারকী নৌকা ২০০ টাকা ও প্রতি কোতগারী থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখি জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে কেয়ারী করে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে আসে দীর্ঘদিন ধরে।

পাথর কোয়ারীর পাড় ভেঙে কোয়ারী ভেঙে চাপা পড়ে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে রাত ৮টায় বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে আছি। বাদাঘাট ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান দুজনেই আছেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে ওসির দায়িত্বে থাকা তাহিরপুর থানার এসআই হক্কানি বলেন, খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এস আই জয়নাল আবেদীনকে ঘটনাস্থল পাঠিয়েছি। অবৈধ বালু-পাথর কেয়ারীর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.