শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে ১৩ জুয়ারি আটক সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার ওয়ারিশান ও এসএ খতিয়ান জ্বালিয়াতি বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করল পিবিআই দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ উদ্ধারের সময় বাস চাপায় নিহত ২ হবিগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপার ঘটনায় নবদম্পতিসহ একই পরিবারের ৬ জন নিহত

স্বৈরতন্ত্রের পতন নিশ্চিত করতেই বিএনপির আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন- স্বৈরতন্ত্রের পতন নিশ্চিত করতেই বিএনপি আন্দোলন করছে। বিএনপির আন্দোলন এখন আর বিএনপির মধ্যে নেই। বিএনপির আন্দোলন এখন গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপি কোনো কর্মসূচী ঘোষণা দিলেই হাজার হাজার মানুষ হয়, যার প্রমাণ হবিগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দান। পুলিশের সকল প্রকার বাঁধা উপেক্ষা করেই হবিগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এই আন্দোলন আরও বেগবান হবে, একদিন গণবিস্ফোরণ হবে, আওয়ামী স্বৈরতন্ত্রের পতন হবে। তিনি গতকাল শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শহরের শায়েস্তানগর কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দান থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। এতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় ঈদগা ময়দান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, চাল, ডাল, তেল, গ্যাস বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এই পদযাত্রা কর্মসূচী পালত হয়।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন- বিএনপি আন্দোলন করছে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য, বিএনপির ১০ দফা দাবী বাস্তায়ন করে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আওয়ামীলীগ বিএনপির এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশ দিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায়। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাখতে চায়। আওয়ামীলীগ আর সেই সুযোগ পাবে না। আওয়ামীলীগের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন- বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এই দলটি বরাবরই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। বিগত ১৪টি বছর যাবত একটি অনির্বাচিত সরকার বিভিন্ন ছলছাতুরি মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এই অনির্বাচিত সরকার জনগণের ভোট হাইজেকের মধ্য দিয়ে আবারও তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিএনপিকে রুখতে চায়। হবিগঞ্জে বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে, কোনো বাঁধাই বিএনপিকে রুখতে পারে নাই। পুলিশের সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করেই হাজার হাজার মানুষ আজকের পদযাত্রা কর্মসূচীতে উপস্থিত হয়েছে। বিএনপিকে দমিয়ে রাখা আওয়ামীলীগের পক্ষে সম্ভব না। পুলিশ ছাড়া বিএনপিকে মোকাবেলা করার হিম্মত আওয়ামীলীগের নেই। আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথেই আছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না করে বিএনপি ঘরে ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন- আমরা ইচ্ছে করলেই পুলিশের ব্যারিকেট ভাংতে পারি। কিন্তু আওয়ামীলীগের কোনো পাতানো ফাঁদে বিএনপি পা দিবে না। অতিতে বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে, আর আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা বাসে আগুন দিয়েছে, ভাংচুর করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। সেই সুযোগ আওয়ামীলীগ আর পাবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেও একটি অনির্বাচিত দখলদার সরকার পরিবর্তন হয়। ২০২৩ সালে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়েই তার প্রমাণ হবে, বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
সমাবশে আরও বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন, যুগ্ম আহŸায়ক মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, হাজী এনামুল হক, মইন উদ্দিন সোহেল, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট রুখসানা জামান চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন শামছু, আব্দুল হান্নান ফরিদ, আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, মহিবুল ইসলাম শাহীন, শেখ বশীর আহমেদ, এডভোকেট আব্দুল কাদির, এম এ মুছা, জাহেদুল ইসলাম জিতু, গীরেন্ড চন্দ্র রায়, সিদ্দিক আলী, নজরুল ইসলাম সানু প্রমুখ।
সদর উপজেলা বিএনপি ঃ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহŸায়ক শামছুল ইসলাম মতিন, আজম উদ্দিন, এডভোকেট আফজাল হোসেন, হাবিবুর রহমান, এডভোকেট মইনুল হোসেন দুলাল, অলিউর রহমান মেম্বার, হাজী শামছু মিয়া, মতিউর রহমান, বাবর আলী,মশিউর রহমান কামাল, নুরুল হক, হাজী জুলমত, আব্দুল বাছিত মেম্বার, এডভোকেট ইলিয়াছ আহমেদ, আব্দুর রউফ, শাহীন জামান, আজহারুল হক বাকু, আমিনুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, আব্দুস সোবহান, হাজী আব্দুল মতিন, ফরিদ মিয়া, মস্তুফা মিয়া, শিপন আহমেদ আছকির, মজনু তালুকদার, মমিনুল ইসলাম, কামাল চৌধুরী, আব্দুল জব্বার, আব্দুল জলিল, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার, এডভোকেট অলিউর মিয়া, ইদ্রিস আলী, আলাউদ্দিন, আব্দুল মজিদ, এখলাছ মিয়া, আব্দুল লতিফ, আল আমিন, শাহিন মিয়া, সোহেল মিয়া, রায়হান মেম্বার, আলমগীর মিয়া, জামাল মেম্বার, বাবুল শাহ মেম্বার, আব্দুল কাদির, এরশাদ মিয়া, জুমন মিয়া, দরস আলী, আফরোজ, আজিজ মিয়া, মুরাদ আলী, এনামুল হক মেম্বার, আলকাস প্রমুখ।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.