শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন শোনানো হয়নি তার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এমপি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তরুণদের প্রতি-এমপি আবু জাহির দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিলেন আলেয়া আক্তার ওয়ারিশান ও এসএ খতিয়ান জ্বালিয়াতি বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করল পিবিআই দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ উদ্ধারের সময় বাস চাপায় নিহত ২ হবিগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপার ঘটনায় নবদম্পতিসহ একই পরিবারের ৬ জন নিহত বানিয়াচংয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত নবীগঞ্জে প্রথমবারের মতো লটারির মাধ্যমে কৃষকের তালিকা করা হলো

হবিগঞ্জে প্রশাসনের অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে নাতিরপুর এলাকায় রেলের ভূমিতে অবৈধভাবে দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করার অভিযোগে প্রায় আড়াইশো পরিবারকে উচ্ছেদ করছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১ টা থেকে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহরুল হোসেন। এতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,শহরের বাইপাস রোড থেকে গরুর বাজারের দিকে পূর্বের রেলের রাস্তার দুই পাশে গড়ে ওঠা কাঁচাপাকা প্রায় আড়াইশো পরিবারের ঘরবাড়ি অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগে উচ্ছেদ করছে প্রশাসন।

এ সময় দীর্ঘদিন থেকে ওই ভূমিতে বসবাসকারী কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান,এই রাস্তা দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ হওয়ার পর পরিত্যক্ত ভূমিতে নিজেরা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।

আবার অনেকে শুরুর দিকে যারা দখল করেছিল তাদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে বসবাস করে আসছেন। স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য আদালতে মামলা আছে বলেও অনেকে দাবী করেছেন।

কেউ কেউ আবার বলছেন এতগুলো পরিবারকে উচ্ছেদ করার আগে পুনর্বাসনের কথা সরকারের লোকেরা চিন্তা করা উচিত ছিল।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জাহুরুল হোসেন বলেন.একসময়ের রেলের পরিত্যক্ত ভূমি বর্তমানে সড়ক ও জনপদের নামে আছে।

এই ভূমি দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন আয়ের মানুষজন দখল করে ঘর বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিল। বেদখল হওয়া ভুমিটি উদ্ধারের জন্য সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল।

এরই প্রেক্ষিতে আজ অভিযান চালিয়ে বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু নিম্ম আয়ের মানুষের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আগামীকাল পাঁচটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে তারা নিজেদের স্থাপনা গুলো নিজেরাই ভেঙে নিয়ে যেতে পারে। এতে তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।

 

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.