মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জে ব্রি-৯২ জাত ধানের বাম্পার ফলন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার পশ্চিম পুকরা গ্রামের হাওড়জুড়ে কৃষকরা আবাদ করেছেন হরেক রকম ধান। কেউবা ব্রি-২৮, কেউ কেই ব্রি-২৯। তবে অধিকাংশ কৃষক আবাদ করেছেন হাইব্রিড ধান। এই ফসলের মাঠে ওই গ্রামের কৃষক মাহবুব চৌধুরীর ৪ বিঘা জমিতে আবাদ হয় ব্যতিক্রমভাবে ব্রি-৯২ ধান।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রদদর্শনী সাইনবোর্ড থাকায় অন্য কৃষকরা কৌতুহল নিয়ে দেখত তার জমির ফসলের অবস্থা। দিন শেষে যখন হাওড়ে ফসল কাটা হয় তখন যারা ব্রি-২৮ ও ব্রি ২৯ আবাদ করেছিলেন তাদের ফলন ভাল না হওয়ায় মাথায় হাত। আবার যারা হাইব্রিড আবাদ করেছিলেন তাদের ফলন ভালই হয়েছে। তবে সবাইকে অবাক করে সোনার ফসল ফলেছে মাহবুব চৌধুরীর জমিতে লাগানো ব্রি-৯২ ধান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মাঠ দিবসে যখন ওই জমির ধান কাটা হয় তখন তা পরিমাপ করার পর দেখা গেছে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ২৫ মণ ধান। এই ফলন দেখে উপস্থিত কৃষকরা আগামীতে ব্রি-২৮ ও ২৯ বাদ দিয়ে এই ধানই আবাদ করবেন বলে নিজেদের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকা জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানও আগামীতে যাতে কৃষকরা নতুন এই জাতের বীজ পায় তার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রæতি দেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরে আলমও কৃষকদেরকে বলেন আর ২৮ ও ২৯ আবাদ না করে ব্রির উৎপাদিত নতুন জাতগুলো আবাদ করার জন্য।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হবিগঞ্জের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পার্থ সারথীর সভাপতিত্বে ও এসেড হবিগঞ্জের সঞ্জালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রফিকুল ইসলাম, জাপানী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও শেয়ার দ্যা প্ল্যানেটের প্রধান টেটসুয়ো সুটসুই, সিনিয়র সহকারী কমিশনার গিয়াস উদ্দিন ও পুকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, হাওড় এলাকার কৃষকদের আগাম বন্যা থেকে ফসল সুরক্ষার জন্য জাপানী অর্থায়নে ৫ বছরের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ব্রি-৯২ ধানের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। জাইকার সহযোগিতায় এই প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে ব্রি, শেয়ার দ্যা প্ল্যানেট এসোসিয়েশন ও এসেড হবিগঞ্জ।

জাপানী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ টেটসুয়ো সুটসুই বলেন, হবিগঞ্জে এর আগেও এসেড এর সাথে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সফলতা অর্জন হওয়ায় এবার ৫ বছরের প্রকল্পে তারা সহায়তা দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে এই এলাকার হাওড়বাসীর উন্নয়নে জাপানী সরকারের আরও বেশী সহায়তা আসবে বলে তিনি প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.