বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
রাজনগর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর শায়েস্তাগঞ্জ ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক ভিডিওকলে মাধবপুরের রেহানাকে বাঁচানোর আকুতি, ‘আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না’ মৌলভীবাজারে চা-শ্রমিকের ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় এমপি কেয়া চৌধুরী আড়াই কোটি টাকার সার-বীজ বিনামূল্যে বিতরণ সার চাওয়ায় কৃষকদের হত্যা করে বিএনপি -এমপি আবু জাহির উপজেলা নির্বাচনে নবীগঞ্জে ১৯ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা নিয়মিত খেলাধূলা আয়োজনে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে-এমপি আবু জাহির দেশে হিটস্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৪টি নৌকা এবং ৪টিতে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উৎসবমুখর পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে ৪টিতে নৌকা ও ৪টিতে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তন্মধ্যে ১নং লোকড়া ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রতীকে কায়সার রহমান (চশমা) ২ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি আমিরুল ইসলাম অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৭ ভোট, আব্দুল হান্নান চৌধুরী আনারস ২ হাজার ৩৫৯ ভোট, এডঃ এম ইলিয়াস ঘোড়া প্রতীকে ১ হাজার ৯৯৩ ভোট, আহাম্মদ আলী নৌকা নিয়ে ১ হাজার ৯৮৫ ভোট, আলহাজ¦ মীর জালাল টেবিল ফ্যান ১ হাজার ১৬১ ভোট, কয়সর আহম্মেদ টেলিফোন ১ হাজার ১৭ ভোট, আজমান আলী মোটর সাইকেল প্রতীকে ২৫৯ ভোট পান।
২নং রিচি ইউনিয়নে নৌকা আলহাজ¦ আব্দুর রহিম নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৭৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সারাজ মিয়া আনারস প্রতীকে পান ৭ হাজার ২৩২ ভোট, কাজল আহমেদ লাঙ্গল প্রতীকে পান ১ হাজার ২৮৬ ভোট।
৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আব্দুল মোতালিব ২ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শিবলু মিয়া মোটর সাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৮৫৫ ভোট, ছানু মিয়া ঘোড়া প্রতীকে ২ হাজার ২১০ ভোট, নজরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ১ হাজার ৩২ ভোট, আবুল কাশেম চশমা প্রতীকে ৯০০ ভোট পান।
৪নং পইল ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে সৈয়দ মঈনুল হাসান আরিফ ৮ হাজার ৪০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ ছাহেব আলী পান ৪ হাজার ৩৮৬ ভোট পান।
৫নং গোপায়া ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে আব্দুল মন্নান ঘোড়া প্রতীকে ৫ হাজার ২৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নুরুজ্জামান চৌধুরী ৪ হাজার ৩২৯, মোঃ আক্তার হোসেন আনারস ৩ হাজার ২৫৫, মিছাবাউল বারী লিটন চশমা প্রতীকে ১ হাজার ৮২৯, মোটর সাইকেল প্রতীকে জহিরুল ইসলাম পান ৬৯৩ ভোট।
৬নং রাজিউড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে বদরুল আলম দুলাল ৪ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাজ উদ্দিন তাজ আনারস প্রতীকে পান ৩ হাজার ৬২৩, ফয়জুল ইসলাম চশমা প্রতীকে পান ৩ হাজার ৪৫১ ভোট, আবুল কালাম বাবুল ঘোড়া প্রতীকে পান ১ হাজার ৭৯৪।
৯নং নিজামপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে তাজ উদ্দিন আহমেদ তাজ ৬ হাজার ৫৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল আওয়াল তালুকদার ৬ হাজার ৬১ ভোট পান।
১০নং লস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাহবুবুর রহমান হিরু নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমজাদ আলী ৩ হাজার ৯১৭ ভোট, নুরুল আলম মোটর সাইকেল পান ২ হাজার ভোট ও মঈনুল হাসান দুলাল আনারস প্রতীকে পান ২ হাজার ১৬৭ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে মোট ৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও সন্ধ্যার দিকে ৫নং গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বহুলা সরকারি মডেল স্কুলে একদল দুবর্”ত্ত ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় আইন শ”ড়খলা বাহিনীর সদস্যরা বাঁধা দিলে তাদের সাথে ধাওয়া হয়। পরে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরি¯ি’তি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় ওই কেন্দ্রে ভোট গননা ¯’গিত করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশনার সাদেকুল ইসলাম ওই কেন্দ্রের ভোট ঘোষণা করেন এবং আব্দুল মন্নানকে জয়ী ঘোষণা করেন। নির্বাচন অফিসের রেজাল্ট অনুযায়ী এ ফলাফল জানা গেছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.