নবীগঞ্জে দুই ভাবির পরকীয়ার বলি মোস্তাকিন: রোমহর্ষক বর্ণনা খুনির
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঘরে ঢুকে মোস্তাকিন মিয়াকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এক যুবকের সঙ্গে দুই ভাবির পরকীয়া দেখে ফেলায় খুন করা হয় দেবর মুস্তাকিনকে। আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে ওই হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক তথ্য।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে প্রধান আসামি রায়হানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহত মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (২৯) ও সজলু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পরকীয়া প্রেমিক রায়হানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহেদুল আলম। আসামি রায়হান নবীগঞ্জের পুরানগাঁও গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে ও মোস্তাকিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
জবানবন্দিতে রায়হান জানান, তিন বছর ধরে তাছলিমা বেগম ও পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামে বিচার হয়। বিচারে রায়হানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপরও রায়হান প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ২৪ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে তাদের বাড়িতে যান রায়হান। প্রথমে তাছলিমা বেগমের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান। পরে রোজিনা বেগমের রুমে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলেন। পরে দুই জা ও রায়হান পরিকল্পনা করে মোস্তাকিনকে হত্যা করেন। তাছলিমা বেগম মোস্তাকিনের দুই পা এবং রোজিনা বেগম তার হাত ও শরীর ধরে রাখেন। এ সময় রায়হান বাম হাত দিয়ে মোস্তাকিনের মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। পরে রায়হান পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের পর পরিকল্পনামতে মোস্তাকিনের ভাবিরা চিৎকার করে কান্না করতে থাকেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ রোজিনা ও তাছলিমাকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তরিকুল ইসলাম বলেন, রোজিনা ও তাছলিমার সঙ্গে রায়হানের পরকীয়া প্রেমের ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।