ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে অলিপুর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান Logo শিল্পের কঠিন বর্জ্যে হারিয়ে গেছে শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং নদীর জলজ প্রাণি Logo মাধবপুরে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান আটক Logo মঞ্চে উঠে আপ্লুত হামজা শুধু বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ Logo শায়েস্তাগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু বানিয়াচংয়ে উদ্ধার, আটক ৩ Logo বাড়ি ফেরা নিয়ে হামজা চৌধুরীর নিজ গ্রামে উৎসবের আমেজ Logo হবিগঞ্জে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ Logo নবীগঞ্জে টিলা কেটে রাস্তা নির্মাণ ॥ চড়াদামে লালমাটি বিক্রি Logo আবরার হত্যা মামলা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল Logo হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের চক্রান্তের প্রতিবাদে শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

ছোট ভাই ছাত্রলীগের সেক্রেটারী বড় ভাই বিএনপির সদস্য সচিব, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির মিশ্র প্রতিক্রিয়া

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে নেতাকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। বিগত সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে মনোনীত সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনের সখ্যতার একাধিক ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল করছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনকে সদস্য সচিব মনোনয়ন করার প্রতিবাদে আহ্বায়ক কমিটির ২২জন সদস্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পত্রে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়। এই আদেশ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে রিপনের সখ্যতার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করেন। রিপনের ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক জুয়েল নিষিদ্ধ সংগঠন ঢাকা উত্তরা (পশ্চিম) ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

গত নভেম্বর ৩২ সদস্য বিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। আহ্বায়ক কমিটির ৫ নম্বরে রয়েছে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনের নাম।

জেলা বিএনপির মনোনীত সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন বলেন, বিগত দিনে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আমি ছিলাম। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিটি কর্মসূচিতে আমি সক্রিয় ছিলাম। দলের জন্য একনিষ্টভাবে কাজ করায়ই দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। এটা কতিপয় নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। রাজনীতিকভাবে আমাকে গায়ের করার জন্যই আমার নামে অপবাদ তোলা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে যখন আহ্বায়ক কমিটি হয় তখন আমি সুপার ফাইভে ছিলাম। তখন কেউ কিছু বলেন নি। সদস্য সচিব মনোনীত হওয়ার পরই কতিপয় লোক উঠে পড়ে লেগেছেন।

সদ্য সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বিগত আওয়ামীলীগের দু:শাসন আমলে আমরা যখন বাড়ি ঘরে থাকতে পারিনি। তখন মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন’কে আন্দোলনে পাইনি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে রিপনকে সদস্য সচিব মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে অনেক ত্যাগি নেতৃবৃন্দ রয়েছেন। তাদেরকে দেয়া যেত। রিপন মৌলভীবাজার ছাত্রদল কিংবা যুবদল করেনি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত নেই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে মনোনীয়ত সদস্য সচিবের সখ্যতা ছিল এমনটি আমিও শুনতেছি ও দেখতেছি। কিন্তু বিষয়টা কতটুকু সত্য যাছাইবাছাই করে দেখতে হবে। বিগত আওয়ামীলীগের সময় সরকার বিরোধী আন্দোলনে আপনাদের সাথে উনি ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ময়ূন বলেন, কিছু কিছু সময় ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৫৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
২৮ বার পড়া হয়েছে

ছোট ভাই ছাত্রলীগের সেক্রেটারী বড় ভাই বিএনপির সদস্য সচিব, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ০৫:৫৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে নেতাকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। বিগত সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে মনোনীত সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনের সখ্যতার একাধিক ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল করছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনকে সদস্য সচিব মনোনয়ন করার প্রতিবাদে আহ্বায়ক কমিটির ২২জন সদস্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পত্রে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়। এই আদেশ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে রিপনের সখ্যতার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করেন। রিপনের ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক জুয়েল নিষিদ্ধ সংগঠন ঢাকা উত্তরা (পশ্চিম) ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

গত নভেম্বর ৩২ সদস্য বিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। আহ্বায়ক কমিটির ৫ নম্বরে রয়েছে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনের নাম।

জেলা বিএনপির মনোনীত সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন বলেন, বিগত দিনে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আমি ছিলাম। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিটি কর্মসূচিতে আমি সক্রিয় ছিলাম। দলের জন্য একনিষ্টভাবে কাজ করায়ই দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। এটা কতিপয় নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। রাজনীতিকভাবে আমাকে গায়ের করার জন্যই আমার নামে অপবাদ তোলা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে যখন আহ্বায়ক কমিটি হয় তখন আমি সুপার ফাইভে ছিলাম। তখন কেউ কিছু বলেন নি। সদস্য সচিব মনোনীত হওয়ার পরই কতিপয় লোক উঠে পড়ে লেগেছেন।

সদ্য সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বিগত আওয়ামীলীগের দু:শাসন আমলে আমরা যখন বাড়ি ঘরে থাকতে পারিনি। তখন মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন’কে আন্দোলনে পাইনি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে রিপনকে সদস্য সচিব মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে অনেক ত্যাগি নেতৃবৃন্দ রয়েছেন। তাদেরকে দেয়া যেত। রিপন মৌলভীবাজার ছাত্রদল কিংবা যুবদল করেনি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত নেই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে মনোনীয়ত সদস্য সচিবের সখ্যতা ছিল এমনটি আমিও শুনতেছি ও দেখতেছি। কিন্তু বিষয়টা কতটুকু সত্য যাছাইবাছাই করে দেখতে হবে। বিগত আওয়ামীলীগের সময় সরকার বিরোধী আন্দোলনে আপনাদের সাথে উনি ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ময়ূন বলেন, কিছু কিছু সময় ছিলেন।