ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে কিশোরী ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo হবিগঞ্জে জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৬৫.১৪ শতাংশ, ১০ বছরে চরম বিপর্যয় Logo চিচিঙ্গা চাষে সফল বাহুবল উপজেলার কৃষক নুরুল Logo নবীগঞ্জে সংঘর্ষের ৩ দিন পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ,পুলিশ বাদী হয়ে ০৮ সাংবাদিক সহ ৩২ জন সহ অজ্ঞাত ৪/৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo চুনারুঘাটে ড্রাগন চাষে সফল সৌদি প্রবাসি জহুর হোসেন Logo শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু Logo নবীগঞ্জ শহরসহ ৭টি গ্রামের মানুষ জন শুন্য যৌথবাহিনী অভিযান ১৩ জন আটক Logo হবিগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই Logo নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষ নিহত ১ আহত কয়েক শতাধিক Logo জুলাই অভ্যুত্থানে নৃশংস হামলার আসামি ও দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

পরিবর্তন চাইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : ফখরুল

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির আয়োজিত সমাবেশের লক্ষ্য চেয়ারপারনস খালেদা জিয়ার মুক্তি। এ লক্ষ্য অর্জনে দরকার সরকারের পরিবর্তন।

সেটি চাইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, আমাদের সমাবেশের লক্ষ্য একটাই, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। খালেদা জিয়া হচ্ছেন দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, আর তার স্বামী হচ্ছেন স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছেন।
ক্ষমতার জন্য বিএনপি যে কোনো দেশের দাসত্ব করতে পারে: কাদের

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গত ১৫ বছর ধরে এক অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার আগে একটি সভায় বলেছিলেন, “কিছুদিনের মধ্যে আমাকে আপনাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু আপনারা আপনাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ” এরপরই এ সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় বন্দী করে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাদের ত্যাগ এ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তবে এ আন্দোলন এখনো পরিপূর্ণতা পায়নি। তাই পরিবর্তন চাইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারের পুলিশ প্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর প্রধান পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে বিপুল সংখ্যক অর্থ উপার্জন করেছে। এই সরকারের সব প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিবাজ। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে এই সরকার সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছে। এই চুক্তির বিনিময়ে সরকার কোনো কিছু আদায় করতে পারেনি। আমরা তিস্তার সঙ্গে বাকি নদীগুলোর সুষ্ঠু বণ্টন চাই। আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধ চাই। এই সরকারকে না সরালে এসব কিছুই আমরা পাব না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
১০৩ বার পড়া হয়েছে

পরিবর্তন চাইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : ফখরুল

আপডেট সময় ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির আয়োজিত সমাবেশের লক্ষ্য চেয়ারপারনস খালেদা জিয়ার মুক্তি। এ লক্ষ্য অর্জনে দরকার সরকারের পরিবর্তন।

সেটি চাইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, আমাদের সমাবেশের লক্ষ্য একটাই, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। খালেদা জিয়া হচ্ছেন দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, আর তার স্বামী হচ্ছেন স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছেন।
ক্ষমতার জন্য বিএনপি যে কোনো দেশের দাসত্ব করতে পারে: কাদের

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গত ১৫ বছর ধরে এক অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার আগে একটি সভায় বলেছিলেন, “কিছুদিনের মধ্যে আমাকে আপনাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু আপনারা আপনাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ” এরপরই এ সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় বন্দী করে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাদের ত্যাগ এ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তবে এ আন্দোলন এখনো পরিপূর্ণতা পায়নি। তাই পরিবর্তন চাইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারের পুলিশ প্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর প্রধান পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে বিপুল সংখ্যক অর্থ উপার্জন করেছে। এই সরকারের সব প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিবাজ। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে এই সরকার সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছে। এই চুক্তির বিনিময়ে সরকার কোনো কিছু আদায় করতে পারেনি। আমরা তিস্তার সঙ্গে বাকি নদীগুলোর সুষ্ঠু বণ্টন চাই। আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধ চাই। এই সরকারকে না সরালে এসব কিছুই আমরা পাব না।