ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিদায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণতন্ত্রের নেত্রী “খালেদা জিয়া” Logo তারেক রহমানের অপেক্ষায় দেশবাসী Logo হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী Logo শায়েস্তাগঞ্জে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির হিড়িক, জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র Logo হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ Logo হাদিকে গুলি: হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি Logo শায়েস্তাগঞ্জ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo চুনারুঘাট উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাক-চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত Logo হবিগঞ্জ বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত

ফের বন্যার কবলে নবীগঞ্জ বাড়ী ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন মানুষ

মোঃ সাগর আহমেদ নবীগঞ্জ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় আবারও বন্যার মুখোমুখি নবীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষ। গত কয়েক দিন পূর্বে উজানের পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির ফলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরিবার নিয়ে উঠেন আশ্রয় কেন্দ্রে। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেয়া হয় ত্রাণ।
পরবর্তীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে কিছু কিছু বাড়ী ঘর ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যায়। বানবাসী মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেন। এরি মধ্যে গত রবিবার থেকে শুরু মুশলদারে বৃষ্টি। কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসার কারনে কুশিয়ারা নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। ফলে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বান্দেরবাজার-কসবা সড়ক ডুবে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করছে। কসবা গ্রাম, কসবা বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর, ফাদুল্লাহ, দুর্গাপুর, মথুরাপুর, হোসেনপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, গালিমপুর, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, উমরপুর, দীঘর ব্রাহ্মণগ্রাম, ইনাতগঞ্জের উমরপুর, মোস্তফাপুর, দক্ষিণগ্রাম, পাঠানহাটি, মনসুরপুর, দরবেশপুর, দিঘীরপাড়, নোয়াগাঁও, চন্ডিপুর, লালাপুর, লামলীপাড়, বানিউন, আউশকান্দির বনগাঁও, পারকুল গ্রাম পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ রূপ আকার ধারণ করছে বন্যা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। দিশেহারা অসহায় মানুষজন ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে-ইনাতগঞ্জের মোস্তফাপুর পাঠানহাটি গ্রামের পাকা সড়ক, দীঘলবাক গ্রামের পাকাসড়ক সহ ১০-১২টি পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
১৪৩ বার পড়া হয়েছে

ফের বন্যার কবলে নবীগঞ্জ বাড়ী ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন মানুষ

আপডেট সময় ০৫:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় আবারও বন্যার মুখোমুখি নবীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষ। গত কয়েক দিন পূর্বে উজানের পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির ফলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরিবার নিয়ে উঠেন আশ্রয় কেন্দ্রে। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেয়া হয় ত্রাণ।
পরবর্তীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে কিছু কিছু বাড়ী ঘর ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যায়। বানবাসী মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেন। এরি মধ্যে গত রবিবার থেকে শুরু মুশলদারে বৃষ্টি। কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসার কারনে কুশিয়ারা নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। ফলে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বান্দেরবাজার-কসবা সড়ক ডুবে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করছে। কসবা গ্রাম, কসবা বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর, ফাদুল্লাহ, দুর্গাপুর, মথুরাপুর, হোসেনপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, গালিমপুর, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, উমরপুর, দীঘর ব্রাহ্মণগ্রাম, ইনাতগঞ্জের উমরপুর, মোস্তফাপুর, দক্ষিণগ্রাম, পাঠানহাটি, মনসুরপুর, দরবেশপুর, দিঘীরপাড়, নোয়াগাঁও, চন্ডিপুর, লালাপুর, লামলীপাড়, বানিউন, আউশকান্দির বনগাঁও, পারকুল গ্রাম পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ রূপ আকার ধারণ করছে বন্যা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। দিশেহারা অসহায় মানুষজন ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে-ইনাতগঞ্জের মোস্তফাপুর পাঠানহাটি গ্রামের পাকা সড়ক, দীঘলবাক গ্রামের পাকাসড়ক সহ ১০-১২টি পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।