বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ : আহত ৫০
আজ সারাদেশের চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’। এই কর্মসূচির কারণে রাজধানীসহ সারাদেশের যান চলাচল প্রায় বন্ধ বলা চলে।
এদিকে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র অংশ হিসেবে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে মেরুল বাড্ডা এলাকায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে এই আন্দোলন করছেন। এতে মেরুল বাড্ডা এলাকায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরুল বাড্ডা এলাকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মেরুল বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে প্রগতি স্মরণীর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বেসরকারি ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টার আগেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে রাস্তায়। এ সময় তারা কোটা সংস্কারের স্লোগান দেয়। একদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও আন্দোলন ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলছে। বাড্ডা ও প্রগতি স্মরনীতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকশ শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মেরুল বাড্ডায় রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।
এ সময় মেরুল বাড্ডা এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী সব যানবাহনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে রাস্তায় শত শত যানবাহন আটকে আছে। আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন।