বিতর্কিত-দলবাজ বিচারপতিদের আজকের মধ্যে পদত্যাগ দাবি
প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিতর্কিত-দলবাজ বিচারপতিদের দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ মাহবুব উদ্দিন খোকন।
একই সঙ্গে রোববারের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট খুলে দিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন, আমরা এই দাবির সঙ্গে একমত। বিচার বিভাগ ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগ পচিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, যেসব বিচারপতি সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন, তাদের ভয় নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, আমরা একজন সৎ, সাহসী ও যোগ্য মানুষকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দেখতে চাই। যিনি সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নয়, রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল নোটিশ দেওয়া হলো সুপ্রিম কোর্ট খোলা থাকবে। আবার কিছুক্ষণ পরেই একটি নোটিশ দেওয়া হলো সুপ্রিমকোর্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। কী কারণে বন্ধ তা আমরাও জানি না, দেশবাসীও জানে না।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দাবি, রাষ্ট্রের সব অঙ্গ চলছে, প্রশাসন চলছে, কিন্তু বিচার বিভাগ বন্ধ থাকবে কেন। রোববার থেকেই সুপ্রিম কোর্ট চালু করার জন্য আহ্বান করছি। তবে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে চালু করতে হবে। আজকের মধ্যে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ও ফাতিমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তার সরকারের আমলে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৭ আগস্ট) পদত্যাগ করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এস কে) মোরসেদ পদত্যাগপত্র জমা দেন গত মঙ্গলবার এবং আজ বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত অ্যাটর্নী জেনারেল এস এম মুনীরও পদত্যাগ করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এ ছাড়া গতকাল সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া পদত্যাগ করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বিচারপতি পদত্যাগ করেননি।