ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৬২২ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করছে ‘শায়েস্তাগঞ্জ সমিতি ইউকে’, নতুন কমিটি গঠন Logo মাধবপুরে হজ করে বাড়ি ফেরা হল না, সড়কে নিহত ৩, আহত ৬ Logo শহীদ জিয়া স্মৃতি নাইট মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo বাহুবল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত সভাপতি মাসুম, সেক্রেটারী ইমন Logo নবীগঞ্জের এক মহিলার পর্নোগ্রাফি মামলায় গোয়ালা বাজারের ব্যবসায়ী কারাগারে Logo নবীগঞ্জে আর্ন্তজাতিক প্রতিরোধ পক্ষ ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ এবং বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ Logo সাংবাদিক নওরোজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবে শোক সভা Logo নবীগঞ্জে দুই ভাবির পরকীয়ার বলি মোস্তাকিন: রোমহর্ষক বর্ণনা খুনির Logo বাহুবলে ইজিবাইকের ভাড়া নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৫০

মাদারীপুর দুই শিশুকে হত্যার পর পাশেই বসে ছিলেন মা

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

একজন মায়ের কাছে সবসময় শতভাগ নিরাপদ একটি সন্তান। কিন্তু পাষন্ড এক মায়ের বিরুদ্ধে দুই শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকি মাদারীপুরের। ওই মায়ের নাম তাহমিনা বেগম (২৫)।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে মাদারীপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার তারা মিয়া ও নার্গিস বেগমের সঙ্গে তাহমিনা বেগম তার দুই সন্তান নিয়ে থাকেন। তাহমিনার স্বামী সৌদি প্রবাসী মো. হালিম খানের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকায় তাহমিনা তার মায়ের সঙ্গেই থাকেন। এক বছর ধরে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। বুধবার বিকেলে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে তাহমিনা তার দুই সন্তান ৩ বছরের জান্নাত ও ১ বছরের মেহেরাজকে হত্যা করে। তাহমিনার মা নার্গিস বেগম ঘরে এসে মেয়ের রুমের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তিনি দরজা খোলেন না। এক প্রতিবেশী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে এ তথ্য জানান। এ খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মৃত দুই সন্তানের পাশে মাকে বসে থাকতে দেখেন। পুলিশ মা তাহমিনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুরের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

তাহমিনা বেগমের বাবা তারা মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে অসুস্থ, তার মানসিক সমস্যা আছে। তার চিকিৎসা চলছে। তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। তার শ্বশুরবাড়ির মানুষজন তাকে অত্যাচার করে পাগল বানিয়েছে। তাই আমার মেয়ের মানসিক সমস্যা না থাকলে এই ধরনের ঘটনা সে ঘটাতে পারত না।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশু দুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে হত্যার মূল কারণ জানা যাবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
৩৭ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুর দুই শিশুকে হত্যার পর পাশেই বসে ছিলেন মা

আপডেট সময় ১০:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

একজন মায়ের কাছে সবসময় শতভাগ নিরাপদ একটি সন্তান। কিন্তু পাষন্ড এক মায়ের বিরুদ্ধে দুই শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকি মাদারীপুরের। ওই মায়ের নাম তাহমিনা বেগম (২৫)।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে মাদারীপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার তারা মিয়া ও নার্গিস বেগমের সঙ্গে তাহমিনা বেগম তার দুই সন্তান নিয়ে থাকেন। তাহমিনার স্বামী সৌদি প্রবাসী মো. হালিম খানের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকায় তাহমিনা তার মায়ের সঙ্গেই থাকেন। এক বছর ধরে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। বুধবার বিকেলে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে তাহমিনা তার দুই সন্তান ৩ বছরের জান্নাত ও ১ বছরের মেহেরাজকে হত্যা করে। তাহমিনার মা নার্গিস বেগম ঘরে এসে মেয়ের রুমের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তিনি দরজা খোলেন না। এক প্রতিবেশী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে এ তথ্য জানান। এ খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মৃত দুই সন্তানের পাশে মাকে বসে থাকতে দেখেন। পুলিশ মা তাহমিনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুরের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

তাহমিনা বেগমের বাবা তারা মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে অসুস্থ, তার মানসিক সমস্যা আছে। তার চিকিৎসা চলছে। তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। তার শ্বশুরবাড়ির মানুষজন তাকে অত্যাচার করে পাগল বানিয়েছে। তাই আমার মেয়ের মানসিক সমস্যা না থাকলে এই ধরনের ঘটনা সে ঘটাতে পারত না।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশু দুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে হত্যার মূল কারণ জানা যাবে।