ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যায়’ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা, শাহরিয়ার কবির ও ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়াও এই আবেদনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কার্যালয়ে এ আবেদন দায়ের করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী। তার আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে এক থেকে ২৪নং আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামীগণ কর্তৃক শহরব্যাপী ‘ব্ল্যাক আউট’ করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে হত্যা, লাশগুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।

আসামির তালিকায় রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেকমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

এ ছাড়াও এই তালিকায় আছেন, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাইমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কতিপয় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতি নির্ধারক।

প্রসঙ্গত, এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় তিনটি মামলা দায়ের করা হলো।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট মিরপুরে শিক্ষার্থী আলভীকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকেও আসামি করা হয়েছে। ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কার্যালয়ে নিহত আলভীর পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন এ অভিযোগ দায়ের করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান এর পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
৩৫ বার পড়া হয়েছে

শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যায়’ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা, শাহরিয়ার কবির ও ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়াও এই আবেদনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কার্যালয়ে এ আবেদন দায়ের করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী। তার আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে এক থেকে ২৪নং আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামীগণ কর্তৃক শহরব্যাপী ‘ব্ল্যাক আউট’ করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে হত্যা, লাশগুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।

আসামির তালিকায় রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেকমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

এ ছাড়াও এই তালিকায় আছেন, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাইমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কতিপয় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতি নির্ধারক।

প্রসঙ্গত, এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় তিনটি মামলা দায়ের করা হলো।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট মিরপুরে শিক্ষার্থী আলভীকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকেও আসামি করা হয়েছে। ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কার্যালয়ে নিহত আলভীর পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন এ অভিযোগ দায়ের করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান এর পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন।