ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে ৭০টি ইটভাটা বন্ধের আশঙ্কা কর্মহীন হওয়ার শঙ্কায় ৪০ হাজার শ্রমিক Logo হবিগঞ্জে ভিপি নুরুল হক নুর আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে Logo হবিগঞ্জের রশিদপুরে আরো ২৯ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান

হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, পানি নামছে ধীরগতিতে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢল বন্ধ হওয়ায় হবিগঞ্জে নদ-নদী ও লোকালয়ের পানি নামতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বলছেন লোকালয়ের পানি ধীরগতিতে নামছে। আর বন্যায় বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আজ খোয়াই নদীতে চুনারুঘাটের বাল্লা পয়েন্ট ব্যতিত অন্যসব পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। বাল্লার পানি এখনও বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপরে।

এদিকে, গতকাল রাত পর্যন্ত জেলার সাতটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৩ জন বন্যা কবলিত মানুষ অবস্থান করছিলেন।
জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে লোকালয়ের পানি কমতে শুরু করেছে, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া লোকজন ফিরতে শুরু করেছেন এবং সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড যায়যায়দিনকে জানিয়েছে।সদর উপজেলার পশ্চিম মোহনপুর, সুলতান মাহমুদপুর ও আনোয়ারপুর ছোট বহুলা, জালালাবাদসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাঘাটে পানি কমলেও বাসাবাড়িতে এখনও পানি জমে আছে। অনেকে কাঁচা ঘরবাড়ি মেরামত করছেন। অন্যের বসতবাড়িতে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন।

পশ্চিম মোহনপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাস্তার পানি নিষ্কাশন হলেও বাসাবাড়ি থেকে পানি নামতে আরও সময় লাগবে। তারপর বসতবাড়ি মেরামতে আরও সপ্তাহখানেক সময়ের প্রয়োজন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুমি রানি বল যায়যায়দিনকে জানান, সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলায় ১৮ হাজার ২৪০ পরিবার পানিবন্দি হয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের পরিমাণ ৭২ হাজার ৭৬০ জন। এখন পর্যন্ত ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু, সেখানে লোকসংখ্যা ১০৯৩ জন। পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে বিতরণের জন্য ১ হাজার ২৩৫ টন চাল মজুদ আছে। বিতরণ করা হয়েছে ৩৪১ টন। ২ হাজার ১৯০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ ছিল এবং বিতরণ করা হয়েছে এক হাজার ৬৯০ প্যাকেট। নগদ ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ৯ লাখ টাকা ইতোমধ্যে বিতরণ শেষ।

হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান জানান, বন্যা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক, চারদিকে পানি কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে যারা আছেন তাঁদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা অব্যাহত আছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
১৩২ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, পানি নামছে ধীরগতিতে

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢল বন্ধ হওয়ায় হবিগঞ্জে নদ-নদী ও লোকালয়ের পানি নামতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বলছেন লোকালয়ের পানি ধীরগতিতে নামছে। আর বন্যায় বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আজ খোয়াই নদীতে চুনারুঘাটের বাল্লা পয়েন্ট ব্যতিত অন্যসব পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। বাল্লার পানি এখনও বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপরে।

এদিকে, গতকাল রাত পর্যন্ত জেলার সাতটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৩ জন বন্যা কবলিত মানুষ অবস্থান করছিলেন।
জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে লোকালয়ের পানি কমতে শুরু করেছে, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া লোকজন ফিরতে শুরু করেছেন এবং সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড যায়যায়দিনকে জানিয়েছে।সদর উপজেলার পশ্চিম মোহনপুর, সুলতান মাহমুদপুর ও আনোয়ারপুর ছোট বহুলা, জালালাবাদসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাঘাটে পানি কমলেও বাসাবাড়িতে এখনও পানি জমে আছে। অনেকে কাঁচা ঘরবাড়ি মেরামত করছেন। অন্যের বসতবাড়িতে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন।

পশ্চিম মোহনপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাস্তার পানি নিষ্কাশন হলেও বাসাবাড়ি থেকে পানি নামতে আরও সময় লাগবে। তারপর বসতবাড়ি মেরামতে আরও সপ্তাহখানেক সময়ের প্রয়োজন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুমি রানি বল যায়যায়দিনকে জানান, সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলায় ১৮ হাজার ২৪০ পরিবার পানিবন্দি হয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের পরিমাণ ৭২ হাজার ৭৬০ জন। এখন পর্যন্ত ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু, সেখানে লোকসংখ্যা ১০৯৩ জন। পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে বিতরণের জন্য ১ হাজার ২৩৫ টন চাল মজুদ আছে। বিতরণ করা হয়েছে ৩৪১ টন। ২ হাজার ১৯০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ ছিল এবং বিতরণ করা হয়েছে এক হাজার ৬৯০ প্যাকেট। নগদ ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ৯ লাখ টাকা ইতোমধ্যে বিতরণ শেষ।

হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান জানান, বন্যা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক, চারদিকে পানি কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে যারা আছেন তাঁদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা অব্যাহত আছে।