ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন ধানের ছারা রোপনে ব্যস্ত নবীগঞ্জের কৃষক

মোঃ সাগর আহমেদ নবীগঞ্জ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

আষাঢ়ে অনাবৃষ্টির কারণে আমনের আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন চাষীরা। কিন্তু গত এক সপ্তাহ থেকে মাঝে মাঝে বৃষ্টি বইতে শুরু করেছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে আমনের জমিতে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন নবীগঞ্জের চাষীরা।

তবে একই সাথে জমি চাষাবাদের কারণে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরিও। তবুও থেমে নেই আমান ধান রোপনের প্রস্তুতি। তবে এই মৌসুমে ধানে লাভ কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন উপজেলার কৃষকরা।

অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আশংকায়ও আছেন তারা।মাঠে খন্ড খন্ড জমিতে সারিবদ্ধভাবে শ্রমিকের চারা রোপনের শৈল্পিক এমন চিত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা রূপের দৃশ্য।

আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে জমিতে আমনের চারা রোপনের উপযুক্ত সময় হলেও, বৃষ্টি অভাবে মাঠের পর মাঠ জমি অনাবাদি পড়েছিল। আবার গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে পানি দিয়ে বাড়তি খরচ করে জমি তৈরী করেছিলেন অনেক কৃষক।

তবে বর্ষকাল শেষ হওয়ার পর নবীগঞ্জে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এ সুযোগে বৃষ্টির পানিতে আমনের জমিতে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। তবে একই সাথে জমি চাষাবাদের কারণে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরিও। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে জমিতে চারা রোপনের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে চাষিরা।

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের জুনু মিয়া এবার ১০ কিয়ার জমিতে আমন ধান রোপন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগের খরার কারণে আমরা জমি তৈরি করতে পারছিলাম না। আর আমন ধানে সেচ দিয়ে ধান চাষ করলে কৃষকরা তেমন একটা লাভবান হবেন না। কারণ এই ধানের ফলন তেমন একটা হয় না।

আমন ধান রোপন করতে দেরি হওয়ার কারণে সেচ দিয়ে জমি চাষ করা শুরু করি। কিন্তু সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে আর সেচ দিয়ে জমি চাষ করতে হচ্ছে না। নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের কৃষক অমিত দাশের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সব সময় বৃষ্টি হচ্ছে আর এই বৃষ্টিতে ভিজে অনেক কষ্ট করে আমরা ধান রোপন করছি।

আর বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম বেশি তাই মজুরি বেশি না নিলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চলবো কেমন করে। তাই আমরাও আমাদের কাজের মজুরি বৃদ্ধি করেছি। আমন ধান আবাদে জাতসমুহ ব্রিআর৮৭,বিনা-১১,ব্রি-৫২,ব্রি-৪৯,ব্রি-৭৫,ব্রি-৯০,ব্রি-১০৩।বিনা ধান ৭ বেশির ভাগ জমিতে চাষ করা হচ্ছে।কৃষি অফিসার শেখ ফজলুল হক মনি জানান, ব্রি – ৮৭ ও ব্রি – ৭৫ স্বল্প মেয়াদি,এসব চাষ করার পর একি জমিতে সরিষা চাষ করা যাবে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কমকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি জানান,নবীগঞ্জ উপজেলায় এবার ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হবে। ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমি আমন ধানের রোপণ হয়েছে। আশা করছি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে আরও বেশি আবাদ হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
১৭ বার পড়া হয়েছে

আমন ধানের ছারা রোপনে ব্যস্ত নবীগঞ্জের কৃষক

আপডেট সময় ০৪:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

আষাঢ়ে অনাবৃষ্টির কারণে আমনের আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন চাষীরা। কিন্তু গত এক সপ্তাহ থেকে মাঝে মাঝে বৃষ্টি বইতে শুরু করেছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে আমনের জমিতে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন নবীগঞ্জের চাষীরা।

তবে একই সাথে জমি চাষাবাদের কারণে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরিও। তবুও থেমে নেই আমান ধান রোপনের প্রস্তুতি। তবে এই মৌসুমে ধানে লাভ কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন উপজেলার কৃষকরা।

অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আশংকায়ও আছেন তারা।মাঠে খন্ড খন্ড জমিতে সারিবদ্ধভাবে শ্রমিকের চারা রোপনের শৈল্পিক এমন চিত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা রূপের দৃশ্য।

আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে জমিতে আমনের চারা রোপনের উপযুক্ত সময় হলেও, বৃষ্টি অভাবে মাঠের পর মাঠ জমি অনাবাদি পড়েছিল। আবার গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে পানি দিয়ে বাড়তি খরচ করে জমি তৈরী করেছিলেন অনেক কৃষক।

তবে বর্ষকাল শেষ হওয়ার পর নবীগঞ্জে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এ সুযোগে বৃষ্টির পানিতে আমনের জমিতে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। তবে একই সাথে জমি চাষাবাদের কারণে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরিও। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে জমিতে চারা রোপনের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে চাষিরা।

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের জুনু মিয়া এবার ১০ কিয়ার জমিতে আমন ধান রোপন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগের খরার কারণে আমরা জমি তৈরি করতে পারছিলাম না। আর আমন ধানে সেচ দিয়ে ধান চাষ করলে কৃষকরা তেমন একটা লাভবান হবেন না। কারণ এই ধানের ফলন তেমন একটা হয় না।

আমন ধান রোপন করতে দেরি হওয়ার কারণে সেচ দিয়ে জমি চাষ করা শুরু করি। কিন্তু সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে আর সেচ দিয়ে জমি চাষ করতে হচ্ছে না। নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের কৃষক অমিত দাশের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সব সময় বৃষ্টি হচ্ছে আর এই বৃষ্টিতে ভিজে অনেক কষ্ট করে আমরা ধান রোপন করছি।

আর বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম বেশি তাই মজুরি বেশি না নিলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চলবো কেমন করে। তাই আমরাও আমাদের কাজের মজুরি বৃদ্ধি করেছি। আমন ধান আবাদে জাতসমুহ ব্রিআর৮৭,বিনা-১১,ব্রি-৫২,ব্রি-৪৯,ব্রি-৭৫,ব্রি-৯০,ব্রি-১০৩।বিনা ধান ৭ বেশির ভাগ জমিতে চাষ করা হচ্ছে।কৃষি অফিসার শেখ ফজলুল হক মনি জানান, ব্রি – ৮৭ ও ব্রি – ৭৫ স্বল্প মেয়াদি,এসব চাষ করার পর একি জমিতে সরিষা চাষ করা যাবে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কমকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি জানান,নবীগঞ্জ উপজেলায় এবার ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হবে। ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমি আমন ধানের রোপণ হয়েছে। আশা করছি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে আরও বেশি আবাদ হবে।