ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস-ঠাইনেই নিম্নবিত্তের

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি

বছর জুরেই দ্রব্যমূল্যের উচ্চমূখীতায় হাসফাস করছে দেশের মানুষ। এতে মধ্যবিত্তের মুখে ঠিকঠাক দুমুঠো খাবার জুটলেও সবকিছু নাগালের বাইরে থাকায় অর্ধহারে দিনাতিপাত করছে নিন্মবিত্তরা। নানা অজুহাতেই দেশের বাজার গুলোতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম। এবার টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাড়তি সেই দ্রব্যমূলের বাজারে যেন জোয়ার লেগেছে। চাল,ডাল, তৈল থেকে শুরু করে কাঁচা সবজির বাজারেও এর প্রভাব পরেছে সর্বোচ্চ।

ঈশ্বরদী উপজেলার সবচে বড় দুটি সবজির বাজার হচ্ছে ঈশ্বরদী পৌর সবজির বাজার এবং দাশুড়িয়া বাজার। শনিবার ১৩ জুলাই বড় এ দুটি সবজির বাজার ঘুরে দেখাযায়, নতুন রেকর্ড গড়ে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, করলা ১০০, লাউ (প্রতিটি) ৫০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৭০, কচু ৭০, বেগুন ৮০, পটল ৪০, ধুন্দল ৫০, কুমড়া ৫০ টাকা (প্রতিপিচ), আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২২০, আদা ৩০০, ঝিঙা ৫০ এবং ঢেঁড়স ৪০কেজি।

মাছের বাজারেও নেই ভালো খবর, ৬ পিচে কেজি ইলিশের কেজি ১০০০ থেকে শুরু, পাঙ্গাস ২৫০, সিলভার ২২০ টাকা (১ কেজি), তেলাপিয়া ২৭০, ছোট রুই ২৮০ থেকে শুরু, ছোট চিংড়ি ১০০০ টাকা, গুড়া মাছ ৬০০ থেকে শুরু।

ঈশ্বরদী বাজারের সবজি বিক্রেতা মো: সবুজ যায়যায়দিনকে বলেন, বৃষ্টির কারনে বাজারে স্থানীয় সবজির আমদনিতে তেমন কোন তারতম্য নেই। তবে কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমদানি করতে হয় বর্ষায় এর দামটা একটু বেশী থাকে। বাজার করতে আসা অটো চালক মো: সবুজ বলেন, সারাদিন যা কামাই তা কাঁচা মরিচ আর পিঁয়াজ কিনতেই শেষ পারিবারের জন্য চালডাল কিনব কিদিয়ে?

দাশুড়িয়া সবজি বাজারের সবজির পসরা সাজিয়ে বসে থাকা বিক্রেতা মো: নূর সালাম মিয়া বলেন, বর্ষায় সব সবজির দামই একটু বেশী থাকে। এবারও তাই। তাছাড়া আমরা বেশী দামে কিনছি কম দামে বিক্রি করব কিভাবে? তবে দাম বেশী থাকায় অনেকেই দাম শুনেই ফেরৎ যাচ্ছে। কেউ দরদাম করছে কেউবা আবর চুপি সারেই ফিরে যাচ্ছে।
বাজারের ব্যগ হাতে এদোকান থেকে ওদোকানে ছুটে বেড়ানো দিন মজুর বলেন, ৫০০ টাকা হাজিরা দিন মজুরের কাজ করে ৮০ টাকা কেজি বেগুনের স্বাদ নি কি ভাবে ? মরিচের ঝালে যে চোখ-মুখ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। হাটে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই! আমরা কি কিনব? খাব কি? বনের শাক পাতা খাব তার জন্যেও তো কাঁচা মরিচ দরকার! সেতাও কিনার সামর্থ আমাদের নাই!

তবে বাজারে দোকানিরা সবজির পরসা সজিয়ে বসে থাকলেও উচ্চদ্রব্য মূল্যের কারনে ক্রেতাদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। নিতান্তই না পারা মানুষ গুলো কেবল বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতেই উচ্চদ্রব্যমূল্যের এই বাজারে হাফিয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। অনেকেই আবার স্বল্প আয়ের সংসারে ঠাইমেলাতেই হিমসিম খাচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
২৬ বার পড়া হয়েছে

উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস-ঠাইনেই নিম্নবিত্তের

আপডেট সময় ০৭:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

বছর জুরেই দ্রব্যমূল্যের উচ্চমূখীতায় হাসফাস করছে দেশের মানুষ। এতে মধ্যবিত্তের মুখে ঠিকঠাক দুমুঠো খাবার জুটলেও সবকিছু নাগালের বাইরে থাকায় অর্ধহারে দিনাতিপাত করছে নিন্মবিত্তরা। নানা অজুহাতেই দেশের বাজার গুলোতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম। এবার টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাড়তি সেই দ্রব্যমূলের বাজারে যেন জোয়ার লেগেছে। চাল,ডাল, তৈল থেকে শুরু করে কাঁচা সবজির বাজারেও এর প্রভাব পরেছে সর্বোচ্চ।

ঈশ্বরদী উপজেলার সবচে বড় দুটি সবজির বাজার হচ্ছে ঈশ্বরদী পৌর সবজির বাজার এবং দাশুড়িয়া বাজার। শনিবার ১৩ জুলাই বড় এ দুটি সবজির বাজার ঘুরে দেখাযায়, নতুন রেকর্ড গড়ে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, করলা ১০০, লাউ (প্রতিটি) ৫০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৭০, কচু ৭০, বেগুন ৮০, পটল ৪০, ধুন্দল ৫০, কুমড়া ৫০ টাকা (প্রতিপিচ), আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২২০, আদা ৩০০, ঝিঙা ৫০ এবং ঢেঁড়স ৪০কেজি।

মাছের বাজারেও নেই ভালো খবর, ৬ পিচে কেজি ইলিশের কেজি ১০০০ থেকে শুরু, পাঙ্গাস ২৫০, সিলভার ২২০ টাকা (১ কেজি), তেলাপিয়া ২৭০, ছোট রুই ২৮০ থেকে শুরু, ছোট চিংড়ি ১০০০ টাকা, গুড়া মাছ ৬০০ থেকে শুরু।

ঈশ্বরদী বাজারের সবজি বিক্রেতা মো: সবুজ যায়যায়দিনকে বলেন, বৃষ্টির কারনে বাজারে স্থানীয় সবজির আমদনিতে তেমন কোন তারতম্য নেই। তবে কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমদানি করতে হয় বর্ষায় এর দামটা একটু বেশী থাকে। বাজার করতে আসা অটো চালক মো: সবুজ বলেন, সারাদিন যা কামাই তা কাঁচা মরিচ আর পিঁয়াজ কিনতেই শেষ পারিবারের জন্য চালডাল কিনব কিদিয়ে?

দাশুড়িয়া সবজি বাজারের সবজির পসরা সাজিয়ে বসে থাকা বিক্রেতা মো: নূর সালাম মিয়া বলেন, বর্ষায় সব সবজির দামই একটু বেশী থাকে। এবারও তাই। তাছাড়া আমরা বেশী দামে কিনছি কম দামে বিক্রি করব কিভাবে? তবে দাম বেশী থাকায় অনেকেই দাম শুনেই ফেরৎ যাচ্ছে। কেউ দরদাম করছে কেউবা আবর চুপি সারেই ফিরে যাচ্ছে।
বাজারের ব্যগ হাতে এদোকান থেকে ওদোকানে ছুটে বেড়ানো দিন মজুর বলেন, ৫০০ টাকা হাজিরা দিন মজুরের কাজ করে ৮০ টাকা কেজি বেগুনের স্বাদ নি কি ভাবে ? মরিচের ঝালে যে চোখ-মুখ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। হাটে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই! আমরা কি কিনব? খাব কি? বনের শাক পাতা খাব তার জন্যেও তো কাঁচা মরিচ দরকার! সেতাও কিনার সামর্থ আমাদের নাই!

তবে বাজারে দোকানিরা সবজির পরসা সজিয়ে বসে থাকলেও উচ্চদ্রব্য মূল্যের কারনে ক্রেতাদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। নিতান্তই না পারা মানুষ গুলো কেবল বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতেই উচ্চদ্রব্যমূল্যের এই বাজারে হাফিয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। অনেকেই আবার স্বল্প আয়ের সংসারে ঠাইমেলাতেই হিমসিম খাচ্ছে।