ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধ হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

হবিগঞ্জের বাহুবলে কবরস্থানে গরু ছাগল ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তাজুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৫ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাজুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর গ্রামের কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষায় গ্রামের মুরুব্বিয়ানদের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় যে কবর স্থানে গরু ছাগল ছড়ানো যাবে না। ইতোমধ্যে কবরস্থানকে ঘিরে দেয়া হয়েছে বাউন্ডারীও।

তারপরও গ্রামের প্রভাবশালী সোনাহর আলী, মাসুদ মিয়া ও মারুফ মিয়ার লোকজন গ্রামের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সকালে গরু ছাগল ছড়াতে যায়। বিষয়টি দেখে বাধা দেন তাজুল ইসলাম।

এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় প্রতিপক্ষরা উত্তেজিত হয়ে তাজুলকে ফিকল দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। বিষয়টি উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে বাঁধে সংঘর্ষ।

এতে তারেক মিয়া, সফর আলী, আনিছ মিয়া ও মতিন মিয়াসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদিকে, তাজুল ইসলামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
১৫ বার পড়া হয়েছে

কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধ হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেট সময় ০৯:২২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

হবিগঞ্জের বাহুবলে কবরস্থানে গরু ছাগল ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তাজুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৫ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাজুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর গ্রামের কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষায় গ্রামের মুরুব্বিয়ানদের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় যে কবর স্থানে গরু ছাগল ছড়ানো যাবে না। ইতোমধ্যে কবরস্থানকে ঘিরে দেয়া হয়েছে বাউন্ডারীও।

তারপরও গ্রামের প্রভাবশালী সোনাহর আলী, মাসুদ মিয়া ও মারুফ মিয়ার লোকজন গ্রামের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সকালে গরু ছাগল ছড়াতে যায়। বিষয়টি দেখে বাধা দেন তাজুল ইসলাম।

এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় প্রতিপক্ষরা উত্তেজিত হয়ে তাজুলকে ফিকল দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। বিষয়টি উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে বাঁধে সংঘর্ষ।

এতে তারেক মিয়া, সফর আলী, আনিছ মিয়া ও মতিন মিয়াসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদিকে, তাজুল ইসলামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।