ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টাকার জন্য কলমী শাকবিক্রি নবীগঞ্জের ফয়েজ শিক্ষিত হতে চায়।

মোঃ সাগর আহমেদ নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি

আট বছরের শিশু ফয়েজ মিয়া সে গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তার সহপাঠিরা ভাল কাপড় ব্যবহার করে। স্কুলে প্রতিদিন দশ-পনের টাকা নাস্তা ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করে। কিন্তু ফয়েজ তাদের মতো প্রতিযোগীতা করে ব্যয় করতে পারেনা। পিতা-মাতা ও স্কুল শিক্ষকদের অগোচরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সে গ্রামের পাশের হাওড়-বিল থেকে কলমী শাক তুলে বাজারে বিক্রি করছে।

সে হচ্ছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মোফাজ্জল মিয়ার পুত্র। তার সাথে আজ ৩ জুলাই বুধবার দুপুরে সাক্ষাত হয় নবীগঞ্জ শহরতলীর জে,কে, হাইস্কুলের সামনে। অনেক আলাপের পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

সে জানায় পড়তে চায়। লেখা-পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়। তবে তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সংসারের অভাব-অনটন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের একজন যুবক বলেন-ফয়েজ শুধু নবীগঞ্জ বাজারে নয় । আরো বিভিন্ন বাজারে কলমী শাক, লতা,কচু শাপলা ফুল, বিক্রি করতে তাকে দেখা যায়। তবে সে কোন স্কুলে পড়ে কি না তিনি জানেন না।

ফয়েজের মতো আরো অনেক শিশুরা টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন পেশা বেঁচে নিয়েছে। সমাজের বিত্তশালীর ব্যক্তি যদি তাদের নিজ -নিজ এলাকার হতদরিদ্র শ্রেণীর লোকদের ছেলে-মেয়েদের পাশা দাঁড়ান । তাহলে কোমলমতী শিশুরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন শাক সব্জি বিক্রি করবেনা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টাকার জন্য কলমী শাকবিক্রি নবীগঞ্জের ফয়েজ শিক্ষিত হতে চায়।

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

আট বছরের শিশু ফয়েজ মিয়া সে গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তার সহপাঠিরা ভাল কাপড় ব্যবহার করে। স্কুলে প্রতিদিন দশ-পনের টাকা নাস্তা ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করে। কিন্তু ফয়েজ তাদের মতো প্রতিযোগীতা করে ব্যয় করতে পারেনা। পিতা-মাতা ও স্কুল শিক্ষকদের অগোচরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সে গ্রামের পাশের হাওড়-বিল থেকে কলমী শাক তুলে বাজারে বিক্রি করছে।

সে হচ্ছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মোফাজ্জল মিয়ার পুত্র। তার সাথে আজ ৩ জুলাই বুধবার দুপুরে সাক্ষাত হয় নবীগঞ্জ শহরতলীর জে,কে, হাইস্কুলের সামনে। অনেক আলাপের পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

সে জানায় পড়তে চায়। লেখা-পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়। তবে তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সংসারের অভাব-অনটন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের একজন যুবক বলেন-ফয়েজ শুধু নবীগঞ্জ বাজারে নয় । আরো বিভিন্ন বাজারে কলমী শাক, লতা,কচু শাপলা ফুল, বিক্রি করতে তাকে দেখা যায়। তবে সে কোন স্কুলে পড়ে কি না তিনি জানেন না।

ফয়েজের মতো আরো অনেক শিশুরা টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন পেশা বেঁচে নিয়েছে। সমাজের বিত্তশালীর ব্যক্তি যদি তাদের নিজ -নিজ এলাকার হতদরিদ্র শ্রেণীর লোকদের ছেলে-মেয়েদের পাশা দাঁড়ান । তাহলে কোমলমতী শিশুরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন শাক সব্জি বিক্রি করবেনা।