গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে: মির্জা ফখরুল
‘ন্যায্য অধিকারের দাবীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে শিক্ষার্থীদের হত্যার দায়ে বাকশালি স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তাদের সহযোগীদের বিচার হবে। বিদেশে পালিয়ে থেকে যত ষড়যন্ত্রই করুক গণহত্যার দায় থেকে তারা রক্ষা পাবেনা। এই বাংলার মাটিতে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হবে। ছাত্র-জনতার রক্ত ত্যাগের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।’ সৈয়দপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব মন্তব্য করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাইদের বাড়িতে যাওয়ার পথে সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গতকাল দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। খুনের সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের কাজ হলো দলকে সুসংগঠিত করে নিজেদের মধ্যে বিভেদ না রেখে ঐক্যের মধ্য দিয়ে চলা। জনগণকে সম্পৃক্ত করে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান সরকারকে আমাদের সহায়তা করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আপনারা জানেন প্রায় দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে নির্যাতন করেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে এখন দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পলাতক হাসিনা ও তার ছেলে জয় বিদেশে থেকেই এখনও নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তারা পূর্বের মতই মিথ্যেচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার অপপ্রচার চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পরাজিত শক্তি যেন কোনভাবেই আমাদের বিজয়কে নস্যাৎ করতে না পারে।’
এ সময় সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, শওকত চৌধুরীসহ অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।