ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছয় ঘণ্টায় ঢাকায় রেকর্ড ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আষাঢ় যে ভীষণ ছন্দে আছে তা বুঝিয়ে দিয়ে গেল রাজধানীবাসীকে। আবহাওয়া অফিসের বার্তা বলছে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আষাঢ়ের এই যে গতি, তার যত অভিমান, সবটাই বলে দেয় বৃষ্টির রেকর্ডের দিকে তাকালে। বর্ষার আগমনী সুর নিয়ে ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমাল দিয়ে যায় ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা শুরু থেকে টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকাসহ ডুবে যায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক। রাস্তায় বের হওয়া যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের চিত্র দেখতে হয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও নানান পেশার মানুষ আছে যাদের ৭দিনই রাস্তায় বের হতে হয়, তারা কেবল হতাশা নিয়ে রাজধানীর আরেক রূপ দেখেছে আজ। কোথাও হাটু সমান, কোথাও কোমর পরিমাণ পানি।আবার সেই পানিতে সাঁতার কাটছে রাজধানীর বর্জ্য, জুতা, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, পলিথিন জাতীয় বিভিন্ন প্যাকেট।

সবকিছু পার হয়েও যাদের দুমুঠো ভাতের পিছে ছুটতে হয় তাদের দুঃখ বোধহয় রাজধানী কখনোই টের পায় না। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, মনসুন শুরু হওয়ার পর এটা সর্বোচ্চ বৃষ্টি। বর্ষা মৌসুমে এটা স্বাভাবিক বৃষ্টি, যা এ বছরে সর্বোচ্চ। গত ২৭ মে ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়, তবে সেটা ছিল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে।

তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম ৩ ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এরপর বৃষ্টি আরও ভারী হয়ে পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পরও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল, তবে তা সামান্য।কাজী জেবুন্নেছা আরও বলেন, আগামীকাল শনিবারও রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রোববার থেকে আবার বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে ডুবে যায় রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকা। ডুবে যায় বেশ কয়েকটি সড়ক। এসব সড়কে চলাচলরত যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। মাঝ সড়কে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় যান চলাচল বিঘ্ন হয়, সৃষ্টি হয় যানজট। সব মিলিয়ে বৃষ্টি, যানজট আর জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রাজধানীবাসিকে।

সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, গত ৩০ মে টেকনাফ উপকূলে পৌঁছায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসে। এর প্রভাবে মেঘ সৃষ্টি হয় ও বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকলে সারাদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়ে থাকে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:১৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
২০ বার পড়া হয়েছে

ছয় ঘণ্টায় ঢাকায় রেকর্ড ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি

আপডেট সময় ০৭:১৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

আষাঢ় যে ভীষণ ছন্দে আছে তা বুঝিয়ে দিয়ে গেল রাজধানীবাসীকে। আবহাওয়া অফিসের বার্তা বলছে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আষাঢ়ের এই যে গতি, তার যত অভিমান, সবটাই বলে দেয় বৃষ্টির রেকর্ডের দিকে তাকালে। বর্ষার আগমনী সুর নিয়ে ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমাল দিয়ে যায় ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা শুরু থেকে টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকাসহ ডুবে যায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক। রাস্তায় বের হওয়া যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের চিত্র দেখতে হয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও নানান পেশার মানুষ আছে যাদের ৭দিনই রাস্তায় বের হতে হয়, তারা কেবল হতাশা নিয়ে রাজধানীর আরেক রূপ দেখেছে আজ। কোথাও হাটু সমান, কোথাও কোমর পরিমাণ পানি।আবার সেই পানিতে সাঁতার কাটছে রাজধানীর বর্জ্য, জুতা, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, পলিথিন জাতীয় বিভিন্ন প্যাকেট।

সবকিছু পার হয়েও যাদের দুমুঠো ভাতের পিছে ছুটতে হয় তাদের দুঃখ বোধহয় রাজধানী কখনোই টের পায় না। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, মনসুন শুরু হওয়ার পর এটা সর্বোচ্চ বৃষ্টি। বর্ষা মৌসুমে এটা স্বাভাবিক বৃষ্টি, যা এ বছরে সর্বোচ্চ। গত ২৭ মে ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়, তবে সেটা ছিল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে।

তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম ৩ ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এরপর বৃষ্টি আরও ভারী হয়ে পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পরও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল, তবে তা সামান্য।কাজী জেবুন্নেছা আরও বলেন, আগামীকাল শনিবারও রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রোববার থেকে আবার বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে ডুবে যায় রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকা। ডুবে যায় বেশ কয়েকটি সড়ক। এসব সড়কে চলাচলরত যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। মাঝ সড়কে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় যান চলাচল বিঘ্ন হয়, সৃষ্টি হয় যানজট। সব মিলিয়ে বৃষ্টি, যানজট আর জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রাজধানীবাসিকে।

সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, গত ৩০ মে টেকনাফ উপকূলে পৌঁছায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসে। এর প্রভাবে মেঘ সৃষ্টি হয় ও বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকলে সারাদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়ে থাকে।