ছাত্র আন্দোলনে ৯ জনকে হত্যা বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগ সভাপতি গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নয়জনকে হত্যা মামলার আসামি হবিগঞ্জের বনিয়াচং উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. রেখাছ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের যাত্রাপাশা মহল্লা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
রেখাছ মিয়া যাত্রাপাশা মহল্লান মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে ও দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।
বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রআন্দোলনে নাইন মার্ডার মামলায় রেখাছ মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে থানা থেকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী হাজার হাজার লোক বড়বাজার শহিদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হন। তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপপরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে মৃতের সংখ্যা হয় নয়জনে। এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়।