ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করল টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে উৎপাদিত আনারস। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের ভৌগলিক নির্দেশক ইউনিট এই জিআই সনদ দেয়।

সনদে ৩১ শ্রেণিতে জিআই-৫২ নম্বরে মধুপুরের আনারসকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা জুবায়ের হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আনারসের জিআই স্বীকৃতি লাভ মধুপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়।

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে বছরে কয়েকশ কোটি টাকার বিপুল পরিমাণ আনারস উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে জায়ান্ট কিউ বা স্থানীয়ভাবে ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত এ অঞ্চলের প্রধান জাত। বাকিগুলো হলো হানি কুইন যা স্থানীয়ভাবে জলডুঙ্গি নামে পরিচিত এবং এমডি—২ ও আশ্বিনা।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, দেশে ও বিশ্ববাজারে এখন আনারস মানেই মধুপুরের আনারস। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে আনারস রপ্তানির সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়েছে।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের মিজি দয়াময়ী সাংমা ১৯৪২ সালে বাংলাদেশে প্রথম আনারস চাষ শুরু করেন। এই গারো নারী ভারতের মেঘালয় থেকে চারা এনে তার বাড়িতে আনারস চাষ শুরু করেছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৭ বার পড়া হয়েছে

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস

আপডেট সময় ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করল টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে উৎপাদিত আনারস। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের ভৌগলিক নির্দেশক ইউনিট এই জিআই সনদ দেয়।

সনদে ৩১ শ্রেণিতে জিআই-৫২ নম্বরে মধুপুরের আনারসকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা জুবায়ের হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আনারসের জিআই স্বীকৃতি লাভ মধুপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়।

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে বছরে কয়েকশ কোটি টাকার বিপুল পরিমাণ আনারস উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে জায়ান্ট কিউ বা স্থানীয়ভাবে ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত এ অঞ্চলের প্রধান জাত। বাকিগুলো হলো হানি কুইন যা স্থানীয়ভাবে জলডুঙ্গি নামে পরিচিত এবং এমডি—২ ও আশ্বিনা।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, দেশে ও বিশ্ববাজারে এখন আনারস মানেই মধুপুরের আনারস। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে আনারস রপ্তানির সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়েছে।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের মিজি দয়াময়ী সাংমা ১৯৪২ সালে বাংলাদেশে প্রথম আনারস চাষ শুরু করেন। এই গারো নারী ভারতের মেঘালয় থেকে চারা এনে তার বাড়িতে আনারস চাষ শুরু করেছিলেন।