দেশজুড়ে স্বৈরশাসক হাসিনার দোসরদের বাড়িঘর ভাংচুর
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরই কেবল বুধবার রাতে ছাত্র জনতা ভাঙ্গেনি, দেশজুড়েই স্বৈরশাসক হাসিনার দোসরদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার ৬ মাস পর, অনলাইনে হাসিনার অডিও বার্তায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্র জনতা রাতভর ভাংচুর চালায়।
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনের দুইতলার একটি কক্ষে এবং নিচতলার লনে এখনও আগুন জ্বলছে। সুধা সদনের সামনে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। সেখানে আছে কিছু ছিন্নমূল মানুষ।
এছাড়া রাজশাহীতে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, খুলনার শেখ বাড়ি, বরিশালের সেরনিয়াবত বাড়িও ভাংচুর চালিয়েছে ছাত্র জনতা।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাভার পৌরসভার মুক্তিরমোড় এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করেছে। এছাড়া আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকায় আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও আওয়ামী–সমর্থিত সংগঠন ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’-এর (স্বাচিপ) সাংগঠনিক সম্পাদক নওশাদ আলীর বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
ভাংচুর চালানো হয়েছে নাটোরে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুলের পোড়া বাড়িতেও।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে।
খুলনায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ষ্বৈরশাসক হাসিনার চাচার বাড়ি।
পিরোজপুরে সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর ভাই সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। গতকাল বুধবার রাত একটার দিকে শহরের পাড়েরহাট সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম হাতুড়ি দিয়ে তুলে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নতুন নাম দিয়েছেন ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’।
বরিশালে গতকাল বুধবার রাত থেকে বুলডোজার দিয়ে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বাড়ি ভাঙা শুরু হয়েছে।