ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের শুধু ব্যাংক লুট হয়নি শিক্ষা ব্যবস্থাও লুট হয়ে গেছে-ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

বাংলাদেশে শুধু ব্যাংক লুট হয়নি; দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও লুট হয়ে গেছে। বর্তমান শিক্ষা মান সম্মতের ধারে কাছেও নেই। বিগত সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা অপ্রয়োজন খাতে ব্যয় হয়েছে।

উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের ১৮ দিনে কমপক্ষে ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। যেভাবে শুরু করেছি আগামী ১ বছর ৫০ থেকে ১শ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় করতে পারবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসিন খান চৌধুরী পাবেল এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, গোলাম মোস্তাফা রফিক, মোহাম্মদ শাবান মিয়া, রুহুল হাসান শরীফ, শোয়েব চৌধুরী ও চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ প্রমুখ।

দেশে মানসম্মত শিক্ষা হচ্ছে না মন্তব্য করে ড. আমানুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশের ছাত্ররা যে শিক্ষা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়। একই লেখাপড়া করে শ্রীলংকার একজন ছাত্র বেতন পায় লাখ টাকা। এই তামাশা চলছে বিগত ৫২ বছর ধরে। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ১ লাখ শিক্ষক কর্মচারি রয়েছেন।

বছরে প্রায় ১ কোটি সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। কিসের সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে, কী লেখাপড়া হচ্ছে একমত্র আল্লাহ জানেন। এর ভেতর দিয়েই আমাকে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা যায় কি-না আমরা চেষ্টা করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্মত শিক্ষা যদি শতকরা ২৫ ভাগ ফিরিয়ে আনতে পারি তা হলেও বাংলাদেশের অনেক উপকার হবে। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

ড. আমানুল্লাহ আক্ষেপ করে বলেন, রাজনৈতিক কারনে বিগত সরকারের আমলে ৯৮৮ জন শিক্ষক চাকুরী হারিয়েছেন। আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হলে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪/৫শ কোটি টাকা নির্বাহ সম্ভব। বাকি টাকা সরকার বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিংবডি বাতিল করা হয়েছে। সমাজের উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায়ের মানুষ গভর্নিংবডির সভাপতি হতে চান। এতে কী মধু আছে জানি না। শিক্ষার মান উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি যাতে সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এজন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৪২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৮ বার পড়া হয়েছে

দেশের শুধু ব্যাংক লুট হয়নি শিক্ষা ব্যবস্থাও লুট হয়ে গেছে-ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

আপডেট সময় ০১:৪২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে শুধু ব্যাংক লুট হয়নি; দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও লুট হয়ে গেছে। বর্তমান শিক্ষা মান সম্মতের ধারে কাছেও নেই। বিগত সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা অপ্রয়োজন খাতে ব্যয় হয়েছে।

উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের ১৮ দিনে কমপক্ষে ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। যেভাবে শুরু করেছি আগামী ১ বছর ৫০ থেকে ১শ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় করতে পারবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসিন খান চৌধুরী পাবেল এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, গোলাম মোস্তাফা রফিক, মোহাম্মদ শাবান মিয়া, রুহুল হাসান শরীফ, শোয়েব চৌধুরী ও চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ প্রমুখ।

দেশে মানসম্মত শিক্ষা হচ্ছে না মন্তব্য করে ড. আমানুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশের ছাত্ররা যে শিক্ষা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়। একই লেখাপড়া করে শ্রীলংকার একজন ছাত্র বেতন পায় লাখ টাকা। এই তামাশা চলছে বিগত ৫২ বছর ধরে। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ১ লাখ শিক্ষক কর্মচারি রয়েছেন।

বছরে প্রায় ১ কোটি সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। কিসের সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে, কী লেখাপড়া হচ্ছে একমত্র আল্লাহ জানেন। এর ভেতর দিয়েই আমাকে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা যায় কি-না আমরা চেষ্টা করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্মত শিক্ষা যদি শতকরা ২৫ ভাগ ফিরিয়ে আনতে পারি তা হলেও বাংলাদেশের অনেক উপকার হবে। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

ড. আমানুল্লাহ আক্ষেপ করে বলেন, রাজনৈতিক কারনে বিগত সরকারের আমলে ৯৮৮ জন শিক্ষক চাকুরী হারিয়েছেন। আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হলে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪/৫শ কোটি টাকা নির্বাহ সম্ভব। বাকি টাকা সরকার বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিংবডি বাতিল করা হয়েছে। সমাজের উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায়ের মানুষ গভর্নিংবডির সভাপতি হতে চান। এতে কী মধু আছে জানি না। শিক্ষার মান উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি যাতে সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এজন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।