ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo হবিগঞ্জে ‘চাঁদার’ ৯০ হাজার টাকাসহ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আটক Logo চুনারুঘাটে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাইকে কুপিয়ে হত্যা Logo হবিগঞ্জে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ওসি দেলোয়ার গ্রেফতার Logo নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ দুই আসামী গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় ডাকাত আলী গ্রেফতার Logo মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ওসি সহ আহত শতাধিক Logo হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকারের Logo সরিনা খাতুন যেন ‘আসমানী’রই প্রতিচ্ছবি

দোকানে ঢুকে ‘ঘুষ চাওয়ার’ অভিযোগ কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

হবিগঞ্জ শহরের একটি কাপড়ের দোকানে ঢুকে ‘ঘুষ চাওয়ার’ অভিযোগে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা শামীম আল মামুনকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন কয়েক শ মানুষ। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
Google news

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ঘাটিয়াবাজারের এসডি প্লাজা নামের দোকানটিতে ঘটনাটি ঘটে।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেছেন শামীম আল মামুন। তিনি জানান, দায়িত্ব পালনে এসডি প্লাজায় গিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্ত শামীম আল মামুন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিদর্শক পদে কর্মরত।

এলাকাবাসী জানান, একটি বিপণিবিতানে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসডি প্লাজার সামনে ঘাটিয়াবাজারের কয়কশ ব্যবসায়ী, দোকানের কর্মচারী ও ক্রেতারা শামীম আল মামুনকে ঘেরাও করে রাখেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন ভুয়া, ভুয়া স্লোগান দিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে নিরাপত্তা দেয়। পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার সময় কয়েকজন উত্তেজিত লোক শামীম আল মামুনকে চড় মারেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাওএসডি প্লাজা দোকান মালিকের ছেলে শুভ দাশ জানান, শামীম আল মামুন এক সপ্তাহ আগে এসডি প্লাজায় একা গিয়ে দোকানের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। এরপর বিভিন্ন ধারায় মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সেদিন তাকে টাকা দেওয়া হয়নি।

তিনি আরো জানান, সোমবার রাতে তিনি (শামীম আল মামুন) দোকানটিতে গিয়ে আবারো ঘুষের টাকার জন্য চাপ দেন। এ সময় দোকানের লোকজন ও কাস্টমস কর্মকর্তার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে কয়েকশ লোক এগিয়ে এসে তাকে ঘেরাও করে রাখেন।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল হক মুন্সী বলেন, “ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তা দুই পক্ষ বিপরীতমুখী বক্তব্য দিচ্ছেন। মূল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
৫২ বার পড়া হয়েছে

দোকানে ঢুকে ‘ঘুষ চাওয়ার’ অভিযোগ কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

হবিগঞ্জ শহরের একটি কাপড়ের দোকানে ঢুকে ‘ঘুষ চাওয়ার’ অভিযোগে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা শামীম আল মামুনকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন কয়েক শ মানুষ। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
Google news

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ঘাটিয়াবাজারের এসডি প্লাজা নামের দোকানটিতে ঘটনাটি ঘটে।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেছেন শামীম আল মামুন। তিনি জানান, দায়িত্ব পালনে এসডি প্লাজায় গিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্ত শামীম আল মামুন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিদর্শক পদে কর্মরত।

এলাকাবাসী জানান, একটি বিপণিবিতানে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসডি প্লাজার সামনে ঘাটিয়াবাজারের কয়কশ ব্যবসায়ী, দোকানের কর্মচারী ও ক্রেতারা শামীম আল মামুনকে ঘেরাও করে রাখেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন ভুয়া, ভুয়া স্লোগান দিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে নিরাপত্তা দেয়। পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার সময় কয়েকজন উত্তেজিত লোক শামীম আল মামুনকে চড় মারেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাওএসডি প্লাজা দোকান মালিকের ছেলে শুভ দাশ জানান, শামীম আল মামুন এক সপ্তাহ আগে এসডি প্লাজায় একা গিয়ে দোকানের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। এরপর বিভিন্ন ধারায় মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সেদিন তাকে টাকা দেওয়া হয়নি।

তিনি আরো জানান, সোমবার রাতে তিনি (শামীম আল মামুন) দোকানটিতে গিয়ে আবারো ঘুষের টাকার জন্য চাপ দেন। এ সময় দোকানের লোকজন ও কাস্টমস কর্মকর্তার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে কয়েকশ লোক এগিয়ে এসে তাকে ঘেরাও করে রাখেন।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল হক মুন্সী বলেন, “ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তা দুই পক্ষ বিপরীতমুখী বক্তব্য দিচ্ছেন। মূল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।”