নবীগঞ্জে খালিক মঞ্জিল নিয়ে তোলপাড় আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারী
নবীগঞ্জে শহরের আলোচিত খালিক মঞ্জিল নিয়ে তোলপাড় চলছে। স্বত্ব মালিকানাধিন ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। শুনানী শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শান্তি শৃংখলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারী করে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় অফিসার ইনচার্জ নবীগঞ্জ এবং হিস্যায় মালিকানা সনাক্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অফিস আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। মামলায় মিনাল আহমদ ও দিলাল আহমদ চৌধুরী নালিশা ভূমি দখলের ষড়যন্ত্র করছে মর্মে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, জমি বর্গাচাষীদের হত্যার হুমকিসহ আরও একাধিক মামলা রয়েছে।
খালিক মঞ্জিল একাংশের স্বত্বাধিকারী ছানু মিয়া চৌধুরীর কন্যা আমমোক্তার দাতা জোছনা চৌধুরীর তরফে আদালতে মামলা করেন শহরের আনমনু গ্রামের সারোয়ার আহমদ ওরপে জিশান। শান্তি শৃংখলা রক্ষায় গতকাল পুলিশের তরফে নোটিশ জারী করা হয়েছে। মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, হাট নবীগঞ্জ মৌজায় ৬টি দাগে অবস্থিত খালিক মঞ্জিলে মোট জমির পরিমাণ ১০১ শতক।
বাড়ি, বাগান, ভিটা, পুকুর, বাড়ি, দোকান ও গৃহের নামে উল্লেখিত পরিমাণ জমি ৪ সহোদর মদব্বির হোসেন চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গোলাম রব্বানী চৌধুরী, ছানু মিয়া চৌধুরীর নামে গেজেটেড আরএস পর্চা মোতাবেক মালিকানা রয়েছে। হিস্যাভিত্তিক মালিকানায় বাসবভন, মার্কেট এবং ভাড়াটিয়া চুক্তির ভিত্তিতে দোকান, ব্যাংক, ডায়াগনিস্ট সেন্টার ভাড়া দেয়া হয়েছে।
হাট নবীগঞ্জ মৌজার জেএল নং ৯১,আর এস খতিয়ান ৪৭৬ আরএস দাগ নং ১৭২৬, ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭৭৩, ১৭৭৪, ১৭৭৫ মোট মোয়াজি ১ একর ১.৫৬ শতক ভূমির মধ্যে আমমোক্তার দাতা জোছনা চৌধুরীর পিতা মৃত ছানু মিয়া চৌধুরী ২৫ শতক ৩৯ অযুতাংশে বাড়ি, বাগান, পুকুর, দোকান কোটার অবস্থান। প্রয়াত হাজী রুস্তুম চৌধুরীর ৪ পুত্র মদব্বির হোসেন চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গোলাম রব্বানী চৌধুরী, ছানু মিয়া চৌধুরী ওয়ারিশান নালিশা ভূমির দখল ও মালিকানা ভোগ করে আসছেন।
তাদের নিয়োজিত কেয়ারটেকার মালিকানার ভিত্তিতে বাসা ও দোকান ভাড়া উত্তোলন করেন। সম্প্রতি দেশে গমন করেন মিনাল ও সহোদর দিলাল আহমদ চৌধুরী।
২১শে আগস্ট জোছনা চৌধুরীর মালিকানাধীন ভবনের তালা ভেঙে মালামাল লুট, কেয়ারটেকার জিকু মিয়াকে তাড়িয়ে দিয়ে মিনাল গোটা খালিক মঞ্জিলকে তাদের মরহুম পিতা মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন হিসেবে দাবি করেন।
তার অপর সহোদর দিলাল চৌধুরী আদালতের ১৪৪ ধারা অপেক্ষা করে পুকুরের চার পাশের বৃক্ষ নিধন করেন। এনিয়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমমোক্তার দাতা ছানু মিয়া চৌধুরীর কন্যা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জোছনা চৌধুরী বলেন, মিনাল, দিলাল চক্র খালিক মঞ্জিল দখলের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, মিনাল ও দিলাল নিজেদের বিএনপির প্রভাবশালী বলয়ের হিসেবে দাবি করে মামলার বাদীকে হুমকি দিচ্ছে। দেশে আইনী প্রতিকার না পেলে বৃটিশ হাই কমিশনের সহায়তা নেয়া হবে।