ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীগঞ্জে রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

নবীগঞ্জ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার থেকে গহরপুর হয়ে রাইয়াপুর সীমানা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় ভেগান্তি পোহাতে হচ্ছে গহরপুর, আমতৈল, সাদল্লাপুর,রাইয়াপুর, কাদিপুর, তাহিরপুর, প্রায় ছয়টি গ্রামে পাঁচ হাজার মানুষের।

ভুক্তভোগীরা ঐ তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের উত্তর গহরপুর গ্রামের এ রাস্তাটি পাকাকরণ হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন হাট-বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সদর, জেলা শহরে যাতায়াত করে। প্রতিদিনই মানুষ এই রাস্তায় চলতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

বিশেষত বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ বিপদগ্রস্ত। রাস্তা ভাঙার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার অসংখ্য মানুষ ছোট বড় নানা দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন। খানাখন্দভরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর ফলে অসংখ্য অটোবাইক, রিকশা, ভ্যান, নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে চালকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বাংলাবাজার থেকে গহরপুর হয়ে রাইয়াপুরের সীমানা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।

সরেজমিন তথ্য সংগ্রহকালে জানা গেছে, এ রাস্তার পিচ ঢালাই ও ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

অটো চালক শাহিন মিয়া বলেন, অটো চালিয়েই আমার সংসার চলে। উপজেলার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর হোসেন, কপিল, রায়েল আরো কয়েকজন বলেন, আমাদের গ্রাম সহ ছয়টি গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় ৫ বছর আগে রাস্তাটি সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিন বছর না যেতেই রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। গত দুই বছর ধরে রাস্তার বিভিন্ন অংশের পিচ ঢালাই ও ইট সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের মধ্যে রিকশাওয়ালারাও আসতে চায় না।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা জুনায়েদ আলমের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, এই রাস্তাটি কালের কিনার হয়ে যাওয়ায়, আপাতত কোন বরাদ্দ নেই বরাদ্দ হলেও সংস্কার করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:১৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
৩১ বার পড়া হয়েছে

নবীগঞ্জে রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

আপডেট সময় ১১:১৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার থেকে গহরপুর হয়ে রাইয়াপুর সীমানা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় ভেগান্তি পোহাতে হচ্ছে গহরপুর, আমতৈল, সাদল্লাপুর,রাইয়াপুর, কাদিপুর, তাহিরপুর, প্রায় ছয়টি গ্রামে পাঁচ হাজার মানুষের।

ভুক্তভোগীরা ঐ তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের উত্তর গহরপুর গ্রামের এ রাস্তাটি পাকাকরণ হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন হাট-বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সদর, জেলা শহরে যাতায়াত করে। প্রতিদিনই মানুষ এই রাস্তায় চলতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

বিশেষত বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ বিপদগ্রস্ত। রাস্তা ভাঙার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার অসংখ্য মানুষ ছোট বড় নানা দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন। খানাখন্দভরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর ফলে অসংখ্য অটোবাইক, রিকশা, ভ্যান, নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে চালকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বাংলাবাজার থেকে গহরপুর হয়ে রাইয়াপুরের সীমানা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।

সরেজমিন তথ্য সংগ্রহকালে জানা গেছে, এ রাস্তার পিচ ঢালাই ও ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

অটো চালক শাহিন মিয়া বলেন, অটো চালিয়েই আমার সংসার চলে। উপজেলার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর হোসেন, কপিল, রায়েল আরো কয়েকজন বলেন, আমাদের গ্রাম সহ ছয়টি গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় ৫ বছর আগে রাস্তাটি সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিন বছর না যেতেই রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। গত দুই বছর ধরে রাস্তার বিভিন্ন অংশের পিচ ঢালাই ও ইট সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের মধ্যে রিকশাওয়ালারাও আসতে চায় না।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা জুনায়েদ আলমের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, এই রাস্তাটি কালের কিনার হয়ে যাওয়ায়, আপাতত কোন বরাদ্দ নেই বরাদ্দ হলেও সংস্কার করা হবে।