নবীগঞ্জে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি ও প্রশাসনের নীরবতা
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় হাতি ব্যবহার করে অভিনব কৌশলে চাঁদা তোলার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এই চাঁদাবাজি চলতে থাকায় সাধারণ ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও বিরক্তি বাড়ছে। দোকানপাট, যানবাহন এমনকি পথচারীদের থেকেও হাতি দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। তবে, প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।
গত ২ জানুয়ারি দুপুরে নবীগঞ্জ থানা পয়েন্টসহ বাজারের বিভিন্ন জায়গায় হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার দৃশ্য দেখা যায়। রাস্তার পাশে দোকান থেকে শুরু করে টমটম, সিএনজি অটোরিকশা, এমনকি মোটরসাইকেলের চালকদেরও হাতি দিয়ে বাধা দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী পাবলু বলেন, “কয়েক দিন পরপর হাতি দিয়ে চাঁদা নিতে আসে। টাকা না দিলে দোকানের সামনে থেকে হাতি সরানো হয় না। বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়।”
একই কথা জানান ব্যবসায়ী রতন লাল রায়। তিনি বলেন, “হাতি দিয়ে টাকা তোলার কারণে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
পথচারীরাও এ চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পথচারী বলেন, “রাস্তার মাঝখানে হাতি দাঁড় করিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। টাকা না দিলে হাতি গাড়ির সামনে থেকে সরানো হয় না। এটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক।”
হাতি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে চাঁদা তোলার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক পথচারী এবং যানবাহনের চালক হাতির উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন পিপিএম বলেন, “হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এত সব ঘটনা সত্ত্বেও প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের দাবি, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার এমন নৈরাজ্য বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা নেওয়া উচিত।
স্থানীয়রা আশা করছেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার এ অনৈতিক কার্যক্রম দ্রুত বন্ধে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায় এ ধরনের নৈরাজ্য ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে।