ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবীগঞ্জ দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহত অর্ধশতাধিক লোককে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অনেকে ভর্তি রয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৪ জুলাই) তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়ার সঙ্গে ইনাতগঞ্জের আশাহীদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় আনমনু গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা আশাহীদ আলী আশার পক্ষ নেন। এর জের ধরে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উপজেলা শহরের ইউনাইটেড হাসপাতাল, হাসেমবাগ হোটেল ও মাছ বাজারসহ ১০ থেকে ১২টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনা সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, তিন দিন ধরে উপজেলা শহর উত্তপ্ত ছিল, যা সোমবার সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

নবীগঞ্জ দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

আপডেট সময় ০৮:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহত অর্ধশতাধিক লোককে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অনেকে ভর্তি রয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৪ জুলাই) তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়ার সঙ্গে ইনাতগঞ্জের আশাহীদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় আনমনু গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা আশাহীদ আলী আশার পক্ষ নেন। এর জের ধরে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উপজেলা শহরের ইউনাইটেড হাসপাতাল, হাসেমবাগ হোটেল ও মাছ বাজারসহ ১০ থেকে ১২টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনা সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, তিন দিন ধরে উপজেলা শহর উত্তপ্ত ছিল, যা সোমবার সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে।