ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

নির্জন ঝোপে নবজাতক ফেলে যান বোরকা পরা নারী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

বোরকা পরা এক নারী নির্জন ঝোপে কিছু একটা ফেলে চলে যাচ্ছিলেন। এ দৃশ্য দেখে ফেলেন স্থানীয় কয়েকজন। ওই নারীর গতিবিধি দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা এগিয়ে ঝোপে গিয়ে দেখেন, কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতক নড়াচড়া করছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ এসে স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের সহযোগিতায় নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রোববার সন্ধ্যার আগে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার উজিরপুর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা উস্তার মিয়া বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে রাস্তার পাশে ঝোপে কী যেন ফেলে দ্রুত চলে যান এক বোরকা পরা নারী। এ দৃশ্য প্রথমে তার নজরে আসে। পরে তিনি ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের সন্ধান পান।

পুলিশ ও সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার আগমুহূর্তে উজিরপুর গ্রামের একটি নির্জন ঝোপে কালো বোরকা পরা এক নারী কাপড়ে মোড়ানো বস্তুসদৃশ কিছু একটা ফেলে দ্রুত চলে যাচ্ছিলেন। এ দৃশ্য দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতক নড়াচড়া করছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এসে বাহুবল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বিষয়টি জানায়। পরে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই নবজাতক হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নবজাতকটি অপরিণত বয়সে জন্ম নিয়েছে। তাই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তবে নবজাতকটি বর্তমানে ভালো আছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, যে নারী বোরকা পরা অবস্থায় শিশুটিকে ঝোপে ফেলে যান, তাকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় শিশুটির দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা ও পরিচর্চা করছে। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাহুবল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, তারা ওই নবজাতকের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই নবজাতকের পরিচয় শনাক্ত না হলে বা দাবিদার পাওয়া না গেলে তাকে সিলেট ছোটমণি নিবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
১২ বার পড়া হয়েছে

নির্জন ঝোপে নবজাতক ফেলে যান বোরকা পরা নারী

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

বোরকা পরা এক নারী নির্জন ঝোপে কিছু একটা ফেলে চলে যাচ্ছিলেন। এ দৃশ্য দেখে ফেলেন স্থানীয় কয়েকজন। ওই নারীর গতিবিধি দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা এগিয়ে ঝোপে গিয়ে দেখেন, কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতক নড়াচড়া করছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ এসে স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের সহযোগিতায় নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রোববার সন্ধ্যার আগে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার উজিরপুর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা উস্তার মিয়া বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে রাস্তার পাশে ঝোপে কী যেন ফেলে দ্রুত চলে যান এক বোরকা পরা নারী। এ দৃশ্য প্রথমে তার নজরে আসে। পরে তিনি ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের সন্ধান পান।

পুলিশ ও সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার আগমুহূর্তে উজিরপুর গ্রামের একটি নির্জন ঝোপে কালো বোরকা পরা এক নারী কাপড়ে মোড়ানো বস্তুসদৃশ কিছু একটা ফেলে দ্রুত চলে যাচ্ছিলেন। এ দৃশ্য দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতক নড়াচড়া করছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এসে বাহুবল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বিষয়টি জানায়। পরে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই নবজাতক হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নবজাতকটি অপরিণত বয়সে জন্ম নিয়েছে। তাই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তবে নবজাতকটি বর্তমানে ভালো আছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, যে নারী বোরকা পরা অবস্থায় শিশুটিকে ঝোপে ফেলে যান, তাকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় শিশুটির দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা ও পরিচর্চা করছে। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাহুবল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, তারা ওই নবজাতকের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই নবজাতকের পরিচয় শনাক্ত না হলে বা দাবিদার পাওয়া না গেলে তাকে সিলেট ছোটমণি নিবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।