ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন Logo হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস Logo নবীগঞ্জে পিতার দায়ের কোপে মেয়ে খুন,ঘাতক পিতা আটক। Logo হবিগঞ্জে বাস উল্টে যুবকের মৃত্যু, আহত ৫০ Logo তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত

পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেটের জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা এলাকা

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যপক টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুঁড়ছে।

তবে সংঘর্ষে হতাহতের কোন তথ্য জানা যায়নি।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য বেলা ১২ টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জমায়েত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা।

বিক্ষোভ মিছিল’ করার ঘোষণা দেয়া হলেও মিছিলের পরিবর্তে সড়কেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ফলে জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের পাশেই সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলে। এতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ শ্লোগান তুলে। পুলিশের দিকে তেড়েও যায় কয়েকজন।

বেলা ৩ তার দিকে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কর্মসূচী চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৫ টার দিকে জমায়েত থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া শুরু করে। এতে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেও বিভিন্ন গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে তারা।

এর আগে দুপুরে আন্দোলনকারীদের জমায়েতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও এসে যোগ দেন। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতা সিদ্দিকীও দলবল নিয়ে আন্দোলন কর্মসুচিতে যোগ দেন।

নয়া দফা দাবিতে এই কর্মসুচি দেয়া হলেও শনিবারের কর্মসুচি থেকে মুলত সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিই জানানো হয়। এই দাবিতেই শ্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডেও লেখা ছিলো এই দাবি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
২০৩ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেটের জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা এলাকা

আপডেট সময় ০৬:২৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

সিলেটে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যপক টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুঁড়ছে।

তবে সংঘর্ষে হতাহতের কোন তথ্য জানা যায়নি।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য বেলা ১২ টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জমায়েত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা।

বিক্ষোভ মিছিল’ করার ঘোষণা দেয়া হলেও মিছিলের পরিবর্তে সড়কেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ফলে জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের পাশেই সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলে। এতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ শ্লোগান তুলে। পুলিশের দিকে তেড়েও যায় কয়েকজন।

বেলা ৩ তার দিকে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কর্মসূচী চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৫ টার দিকে জমায়েত থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া শুরু করে। এতে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেও বিভিন্ন গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে তারা।

এর আগে দুপুরে আন্দোলনকারীদের জমায়েতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও এসে যোগ দেন। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতা সিদ্দিকীও দলবল নিয়ে আন্দোলন কর্মসুচিতে যোগ দেন।

নয়া দফা দাবিতে এই কর্মসুচি দেয়া হলেও শনিবারের কর্মসুচি থেকে মুলত সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিই জানানো হয়। এই দাবিতেই শ্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডেও লেখা ছিলো এই দাবি।