ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় নাজমুল হোসেনকে সংবর্ধনা Logo হবিগঞ্জে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ Logo আজ সালমান শাহর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী Logo সংস্কার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুগ্ম-সচিব বর্তমান কমিটির প্রচেষ্টায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব নান্দনিক হয়েছে Logo সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গাঘেরা চুনারুঘাটে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা, অভাব পরিকল্পনার Logo দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে হবিগঞ্জের নদ-নদী Logo শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ায় শিল্প এলাকার বেড়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা Logo নবীগঞ্জে টমটম-সিএনজি ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশত Logo পর্যটন শিল্পে সম্ভবনাময় উপজেলা চুনারুঘাট Logo বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, চক্রান্ত করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না- জি কে গউছ

প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক

এই শতাব্দীতে আইসিসি ইভেন্টে মোট ১০বার সেমিফাইনাল খেললেও কখনোই ফাইনালে পা রাখতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিবারই মাথা নিচু করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দলটিকে। প্রোটিয়াদের নামের সঙ্গে লেপ্টে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল এবার কি পারবে প্রোটিয়ারা। নাকি লেখা হবে আফগান রূপকথা। ম্যাচের আগে অবশ্য প্রোটিয়া কোচ রব ওয়াল্টার, আগের প্রোটিয়াদের সঙ্গে এই প্রোটিয়া দলকে মেলাতে বারণ করেছিলেন। তবে সে সময় বিশ্বাস হয়নি তার সেই কথা।

প্রোটিয়াদের সাবেক কিংবদন্তি গ্রেইম স্মিথ তো টুইটও করে বসেছেন। সেখানে দ্বিধা নিয়ে জানতে চেয়েছেন ফাইনাল দেখতে বিমানের টিকিট কাটবেন কিনা তিনি। এখন অবশ্য সেই টিকিটটা কাটতে পারেন স্মিথ। কেননা, ওয়াল্টারের এই দল হতাশ করেনি এবার। ঘুচিয়ে দিয়েছে চোকার্স তকমা। আফগানদের ৫৬ রানে অলআউট করে সতর্ক হয়ে ম্যাচে জয় তুলেছে ৬৭ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে।

প্রোটিয়াদের জয়ের রাস্তাটা অবশ্য সহজ করে দিয়েছেন আফগান ব্যাটাররা। পুরো আসরজুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলা আফগানরা সেমিতে উঠেই দেখল ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়। কৃতিত্বটা অবশ্য কম নয় প্রোটিয়া বোলারদের। তাদের ক্ষুরধার বোলিংয়েই যে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে আফগান ব্যাটারদের। ২০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ২৮ রানে ৬ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতেই পাওয়ার শেষ আফগানদের। এরপর সেই ইনিংসটা কতদূর যাবে তা অনুমেয়ই ছিল। তবে সে পর্যন্তও সেই অনুমান করা সংগ্রহটাও দাঁড় করাতে পারেনি আফগনারা। মাত্র ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানেই অলআউট আফগানিস্তান।

আফগানদের বোলিং আক্রমণ নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা। তাছাড়া লড়াই করার মানসিকতা আছে তাদের। তবে সেটার জন্যও স্কোরবোর্ডে একটা চ্যালেঞ্জিং পুঁজি থাকা চায় অন্তত। আজ সেই পুঁজিটাও দাঁড় করাতে পারেনি আফগানরা। তাই ম্যাচটা তারা হেরে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। এরপর কেবল দেখার ছিল কয় ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা টেনে নিয়ে যেতে পারে আফগানরা। কিংবা কয়টি উইকেট তুলতে পারে তারা।

শুরুটা নেহায়েত মন্দ করেনি রশিদ খানের দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আগ্রাসী ওপেনার কুইন্টন ডি ককের স্টাম্প ভেঙে দেন আসরের অন্যতম সফল বোলার ফজলহক ফারুকী। এরপর পরের ওভারে নাভিন-উল-হকও পেতে পারতেন উইকেটের দেখা। তাতে বড় বিপদে পড়তে পারত প্রোটিয়ারা। তবে স্টাম্পের পেছনে রহমানুল্লাহ গুরবাজ বুঝতে পারেননি ব্যাটে লেগেছিল বলটা। যার কারণে রিভিউও নেয়নি তারা। পরে অবশ্য ব্যাটের স্পাইক দেখে আফসোসই করতে হয়েছে তাদের। ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই।

এরপর ম্যাচের বাকি পথে আর ভুল করেনি রিজা হেন্ড্রিক্স ও এইডেন মার্করাম জটি। দু’জনের ব্যাটে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ জিতেছে ৬৭ বল হাতে রেখে। আর তাতেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্নের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট সময় ১১:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

এই শতাব্দীতে আইসিসি ইভেন্টে মোট ১০বার সেমিফাইনাল খেললেও কখনোই ফাইনালে পা রাখতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিবারই মাথা নিচু করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দলটিকে। প্রোটিয়াদের নামের সঙ্গে লেপ্টে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল এবার কি পারবে প্রোটিয়ারা। নাকি লেখা হবে আফগান রূপকথা। ম্যাচের আগে অবশ্য প্রোটিয়া কোচ রব ওয়াল্টার, আগের প্রোটিয়াদের সঙ্গে এই প্রোটিয়া দলকে মেলাতে বারণ করেছিলেন। তবে সে সময় বিশ্বাস হয়নি তার সেই কথা।

প্রোটিয়াদের সাবেক কিংবদন্তি গ্রেইম স্মিথ তো টুইটও করে বসেছেন। সেখানে দ্বিধা নিয়ে জানতে চেয়েছেন ফাইনাল দেখতে বিমানের টিকিট কাটবেন কিনা তিনি। এখন অবশ্য সেই টিকিটটা কাটতে পারেন স্মিথ। কেননা, ওয়াল্টারের এই দল হতাশ করেনি এবার। ঘুচিয়ে দিয়েছে চোকার্স তকমা। আফগানদের ৫৬ রানে অলআউট করে সতর্ক হয়ে ম্যাচে জয় তুলেছে ৬৭ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে।

প্রোটিয়াদের জয়ের রাস্তাটা অবশ্য সহজ করে দিয়েছেন আফগান ব্যাটাররা। পুরো আসরজুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলা আফগানরা সেমিতে উঠেই দেখল ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়। কৃতিত্বটা অবশ্য কম নয় প্রোটিয়া বোলারদের। তাদের ক্ষুরধার বোলিংয়েই যে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে আফগান ব্যাটারদের। ২০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ২৮ রানে ৬ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতেই পাওয়ার শেষ আফগানদের। এরপর সেই ইনিংসটা কতদূর যাবে তা অনুমেয়ই ছিল। তবে সে পর্যন্তও সেই অনুমান করা সংগ্রহটাও দাঁড় করাতে পারেনি আফগনারা। মাত্র ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানেই অলআউট আফগানিস্তান।

আফগানদের বোলিং আক্রমণ নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা। তাছাড়া লড়াই করার মানসিকতা আছে তাদের। তবে সেটার জন্যও স্কোরবোর্ডে একটা চ্যালেঞ্জিং পুঁজি থাকা চায় অন্তত। আজ সেই পুঁজিটাও দাঁড় করাতে পারেনি আফগানরা। তাই ম্যাচটা তারা হেরে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। এরপর কেবল দেখার ছিল কয় ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা টেনে নিয়ে যেতে পারে আফগানরা। কিংবা কয়টি উইকেট তুলতে পারে তারা।

শুরুটা নেহায়েত মন্দ করেনি রশিদ খানের দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আগ্রাসী ওপেনার কুইন্টন ডি ককের স্টাম্প ভেঙে দেন আসরের অন্যতম সফল বোলার ফজলহক ফারুকী। এরপর পরের ওভারে নাভিন-উল-হকও পেতে পারতেন উইকেটের দেখা। তাতে বড় বিপদে পড়তে পারত প্রোটিয়ারা। তবে স্টাম্পের পেছনে রহমানুল্লাহ গুরবাজ বুঝতে পারেননি ব্যাটে লেগেছিল বলটা। যার কারণে রিভিউও নেয়নি তারা। পরে অবশ্য ব্যাটের স্পাইক দেখে আফসোসই করতে হয়েছে তাদের। ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই।

এরপর ম্যাচের বাকি পথে আর ভুল করেনি রিজা হেন্ড্রিক্স ও এইডেন মার্করাম জটি। দু’জনের ব্যাটে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ জিতেছে ৬৭ বল হাতে রেখে। আর তাতেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্নের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা।