ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাকেরগঞ্জে সেতু এখন মরণফাঁদ

বরিশাল প্রতিনিধি

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামে ব্যারেরধন খালের ওপর নির্মিত আয়রন সেতু এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটির সিমেন্টের তৈরি ঢালাই সেতুর মাঝখান থেকে ভেঙে খালে পড়ে রয়েছে। পাঁচ বছর ধরে সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভেঙে যাওয়া সেতু দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই এলাকার হাজারো ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা চলাচল করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বড় রঘুনাথপুর, ছোট রঘুনাথপুর ও বাতাবুনিয়া এই ৩ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এখন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। স্থানীয়রা চলাচলের জন্য সেতুটির ভাঙ্গা স্থানে সুপারি গাছের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছে।

ওই সুপরি গাছের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পথচারীরা পারাপার হয়। সেতুটি দিয়ে কোনো প্রকার গাড়ি বা পরিবহন চলাচল করতে না পারায় কৃষকদের উৎপাদিত পন্য মাথায় নিয়ে বহন করতে হয়। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসীসহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্পের আওয়াতায় দেওয়া হয়েছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
২০ বার পড়া হয়েছে

বাকেরগঞ্জে সেতু এখন মরণফাঁদ

আপডেট সময় ০৪:৪২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামে ব্যারেরধন খালের ওপর নির্মিত আয়রন সেতু এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটির সিমেন্টের তৈরি ঢালাই সেতুর মাঝখান থেকে ভেঙে খালে পড়ে রয়েছে। পাঁচ বছর ধরে সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভেঙে যাওয়া সেতু দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই এলাকার হাজারো ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা চলাচল করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বড় রঘুনাথপুর, ছোট রঘুনাথপুর ও বাতাবুনিয়া এই ৩ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এখন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। স্থানীয়রা চলাচলের জন্য সেতুটির ভাঙ্গা স্থানে সুপারি গাছের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছে।

ওই সুপরি গাছের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পথচারীরা পারাপার হয়। সেতুটি দিয়ে কোনো প্রকার গাড়ি বা পরিবহন চলাচল করতে না পারায় কৃষকদের উৎপাদিত পন্য মাথায় নিয়ে বহন করতে হয়। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসীসহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্পের আওয়াতায় দেওয়া হয়েছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর।