ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৪শ’ টাকা ছুঁয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

কাঁচামরিচের দাম এবার ছুঁয়েছে ৪শ’ টাকা। মেহেরপুরে এই দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই রাজশাহী, মানিকগঞ্জ ও খুলনার বাজারও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় মরিচের খেত নষ্ট হওয়ায় বেশি দামে মরিচ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর ক্রেতাদের দাবি, সঠিক তদারকির অভাবে ইচ্ছেমতো বাড়ানো হচ্ছে দাম।

হঠাৎ করেই অস্থির কাঁচামরিচের বাজার। ছোট্ট এই ঝাল জাতীয় পণ্য কিনতে ঘাম ঝরার উপক্রম ক্রেতার। তাই দাম শুনেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন অনেক ক্রেতা।

স্বাভাবিক সময়ে মেহেরপুরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও একমাসের বেশি সময় ধরে দাম আরও বাড়তে থাকে। ধাপে ধাপে দাম বেড়ে কয়েকদিন ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মরিচ। তবে বর্তমানে খুচরা বাজারে মরিচ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে এবছর এখন পর্যন্ত স্থানীয় কাঁচামরিচ বাজারে আসেনি। যাতে চড়া দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে মরিচের অস্বাভাবিক দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অস্বাভাবিক দামের পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন তারা।

মেহেরপুরের ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় কাঁচামরিচ বাজারে এখনো আসেনি যার ফলে কাঁচামরিচের দাম এত বেশি।’

একই অবস্থা রাজশাহীর কাঁচা বাজারেও। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ প্রায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। কয়েকদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নীচু জমিতে পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদন। আষাঢ়ের এই বৃষ্টি উঁচু জমির জন্য আশীর্বাদ হলেও নীচু জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যাতে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের।

ক্রেতারা বলছেন, খরা কিংবা বন্যা যাই হোক নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নজরদারি সব থেকে জরুরি বলছেন তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
২২ বার পড়া হয়েছে

বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৪শ’ টাকা ছুঁয়েছে

আপডেট সময় ০৯:২০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

কাঁচামরিচের দাম এবার ছুঁয়েছে ৪শ’ টাকা। মেহেরপুরে এই দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই রাজশাহী, মানিকগঞ্জ ও খুলনার বাজারও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় মরিচের খেত নষ্ট হওয়ায় বেশি দামে মরিচ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর ক্রেতাদের দাবি, সঠিক তদারকির অভাবে ইচ্ছেমতো বাড়ানো হচ্ছে দাম।

হঠাৎ করেই অস্থির কাঁচামরিচের বাজার। ছোট্ট এই ঝাল জাতীয় পণ্য কিনতে ঘাম ঝরার উপক্রম ক্রেতার। তাই দাম শুনেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন অনেক ক্রেতা।

স্বাভাবিক সময়ে মেহেরপুরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও একমাসের বেশি সময় ধরে দাম আরও বাড়তে থাকে। ধাপে ধাপে দাম বেড়ে কয়েকদিন ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মরিচ। তবে বর্তমানে খুচরা বাজারে মরিচ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে এবছর এখন পর্যন্ত স্থানীয় কাঁচামরিচ বাজারে আসেনি। যাতে চড়া দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে মরিচের অস্বাভাবিক দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অস্বাভাবিক দামের পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন তারা।

মেহেরপুরের ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় কাঁচামরিচ বাজারে এখনো আসেনি যার ফলে কাঁচামরিচের দাম এত বেশি।’

একই অবস্থা রাজশাহীর কাঁচা বাজারেও। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ প্রায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। কয়েকদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নীচু জমিতে পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদন। আষাঢ়ের এই বৃষ্টি উঁচু জমির জন্য আশীর্বাদ হলেও নীচু জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যাতে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের।

ক্রেতারা বলছেন, খরা কিংবা বন্যা যাই হোক নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নজরদারি সব থেকে জরুরি বলছেন তারা।