ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বানিয়াচংয়ে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গৃহবধুকে হত্যা

আকিকুর রহমান রুমন,বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ

বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মিনারা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার নিহত মিনারা বেগমের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযোগ দিতে যান নিহতের স্বামী হাবিবুর রহমান কনাই মিয়া।

নিহতের স্বামী হাবিবুর রহমান কনাই মিয়া অভিযোগ করে জানান, একই এলাকার টেনু মিয়া, জিলাই মিয়া ও হারুন মিয়াসহ তাদের লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল তার। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়।

গত ১১ আগস্ট রোববার রাতে উল্লেখিতরা বিরোধপুর্ণ জায়গাটি দখল করতে যায়। এসময় আমার স্ত্রী তাদেরকে বাধা দিলে তারা তাকে উপর্যপূরি ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার মারা যায় সে। পরে সেখানেই মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।

কনাই মিয়া জানান, আমার ছোট ছোট ৪টি ছেলেও ১টি মেয়ে রয়েছে এখন তাদের কি হবে। আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে পুকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ শামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি নিহতের স্বজনদের মাধ্যমে আমিও শুণেছি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
৩০ বার পড়া হয়েছে

বানিয়াচংয়ে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গৃহবধুকে হত্যা

আপডেট সময় ১১:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মিনারা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার নিহত মিনারা বেগমের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযোগ দিতে যান নিহতের স্বামী হাবিবুর রহমান কনাই মিয়া।

নিহতের স্বামী হাবিবুর রহমান কনাই মিয়া অভিযোগ করে জানান, একই এলাকার টেনু মিয়া, জিলাই মিয়া ও হারুন মিয়াসহ তাদের লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল তার। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়।

গত ১১ আগস্ট রোববার রাতে উল্লেখিতরা বিরোধপুর্ণ জায়গাটি দখল করতে যায়। এসময় আমার স্ত্রী তাদেরকে বাধা দিলে তারা তাকে উপর্যপূরি ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার মারা যায় সে। পরে সেখানেই মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।

কনাই মিয়া জানান, আমার ছোট ছোট ৪টি ছেলেও ১টি মেয়ে রয়েছে এখন তাদের কি হবে। আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে পুকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ শামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি নিহতের স্বজনদের মাধ্যমে আমিও শুণেছি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।