ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জ থানার সাবেক ওসি কামালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা: সাংবাদিকসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত Logo শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড Logo নবীগঞ্জে দুর্ঘটনা, নারীসহ নিহত ২ Logo মাধবপুর বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০ Logo হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসকের একমাসের কারাদণ্ড Logo স্বৈরাচার পতনে ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo বাংলাদেশের মানুষ কল্পনাও করেনি যে কেবল চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত ‘জুলাই বিদ্রোহে’ রূপ নেবে। গত বছরের ১ জুলাই বাংলাদেশ এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হয়। এদিন শিক্ষার্থীদের ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ রূপ নেয়। এটি ছিল প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সূচনাবিন্দু। মানুষ কল্পনাও করেনি যে শুরুতে কেবল চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত ‘জুলাই বিদ্রোহে’ রূপ নেবে, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ছাত্রদের এই অসন্তোষের সূচনা ঘটে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের সরকারি প্রজ্ঞাপনকে হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করার রায়ের পর। সরকার ২০১৮ সালে তীব্র ছাত্র আন্দোলনের চাপে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনঃপ্রবর্তিত হয়, যাতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলার জন্য ১০ শতাংশ, সংখ্যালঘুদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়। ছাত্ররা এই ব্যবস্থাকে মেধাবীদের প্রতি বৈষম্য হিসেবে মনে করে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। সরকার প্রতিবাদকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে চাইলে পরিস্থিতি বিদ্রোহে রূপ নেয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারপন্থী সন্ত্রাসীরা একযোগে আক্রমণ চালালে অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন নিহত এবং প্রায় ২০ হাজার জন আহত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে নিষ্ঠুর দমনপীড়ন। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই জুলাই বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই ২০০৮ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। ২০২৪ সালের ১ জুলাই এই আন্দোলন পুরো মাত্রায় শুরু হলেও এর গোড়াপত্তন ঘটে ৫ জুন। ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাস্তায় নামে। আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ‘জুলাই : মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইতে লিখেছেন, ‘৫ জুন বিকেলে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে চানখারপুলে স্কুটি মেরামত করাচ্ছিলাম। তখন ফেসবুকে দেখি- হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহাল করেছে। মনে হলো ২০১৮ সালের অর্জনগুলো ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে।’ এরপর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচির সূচনা হয়। রাত সাড়ে ৭টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’ ব্যানারে একটি মিছিল বের হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে তা শেষ হয়। এই সমাবেশে তারা হাইকোর্টের রায়কে ‘মেধাবীদের সাথে তামাশা’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম পরদিন ৬ জুন বিকেল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশের ঘোষণা দেন। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় শ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই মিছিলে অংশ নেয় এবং স্লোগান দেয়- ‘কোটা পদ্ধতি মানি না’, ‘হাইকোর্টের রায় মানি না’, ‘কোটা বাতিল করতেই হবে’। আসিফের বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করে নাহিদও ৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাদের প্রথম বৈঠকের কথা এবং কিভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন তা স্মরণ করেন। নাহিদ পরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঈদুল আজহার ছুটির আগে মাত্র তিন দিন আন্দোলনের সুযোগ পেয়েছিলাম।’ ৬ জুন ঢাবি, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জগন্নাথসহ দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে। ৯ জুন শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করে অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। শুনানির দিন ধার্য হয় ৪ জুলাই। ১০ জুন আবারো মিছিল হয় এবং শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৩০ জুনের মধ্যে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল করতে আল্টিমেটাম দেয়, না হলে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দেয়। আসিফ স্মরণ করেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছিল, তাই আমরা সেই দিনটিকে আল্টিমেটামের সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করি। আমরা সরকারকে সতর্কও করেছিলাম- যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা আবার আন্দোলন শুরু করব।’ ৩০ জুন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসায় ১ জুলাই ঢাবি, জগন্নাথ, জাবি, রাবি, চবি, বরিশাল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করে, যা রাজু ভাস্কর্যে শেষ হয়। সমাবেশ থেকে নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন, আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও পরীক্ষার বর্জন চলবে। তিনি তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন- ২ জুলাই দেশব্যাপী মহাসড়কে মিছিল, ৩ ও ৪ জুলাই রাজধানীর রাজু ভাস্কর্যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ। সমাবেশে নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন- ৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলবে। সেই সাথে তিনি চারটি দাবি উত্থাপন করেন- ১. দ্রুত কোটা সংস্কারে কমিশন গঠন, যেন পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়। ২. কোটা পূরণ না হলে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করা। ৩. নিয়োগে একাধিকবার কোটা সুবিধা ব্যবহার বন্ধ করা। ৪. প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। Logo হবিগঞ্জে শুঁটকি উৎপাদনে ভাটা Logo নবীগঞ্জ মসজিদে মাইকিং করে পুলিশের ওপর হামলা, আসামি ছিনতাই আটক ১৩

বাবার জন্য দিন, ‘বাবা দিবস’

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক

প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাবাকে ভালোবাসার জন্যে কি শুধুই একটি দিন? বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ তো প্রতিদিনই ঘটে। প্রশ্ন উঠুক, তবু পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিন বাবার জন্য রেখে দিতে চায়, যেমনটা রাখা হয় মায়ের জন্য। তাই আজ বাবা দিবস, শুধু বাবার জন্য একটি বিশেষ দিন।

বিশ্বের প্রায় ৫২টি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়। পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রোববার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। এই ধারাবাহিকতায় এ বছর ১৬ জুন দিবসটি পালিত হচ্ছে।

‘বাবা দিবস’ পালন শুরু হয় গত শতাব্দীর শুরুর দিকে। উদ্দেশ্য একটাই- পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি সন্তানদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশ। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই সর্বপ্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয় আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায়।

পৃথিবীব্যাপী ‘বাবা দিবস’ উদযাপন হয় ব্যাপক আয়োজনে মধ্য দিয়ে। তবে শুরুর দিকে কিন্তু এতোটা আয়োজন ছিলো না। আসলে ‘মা দিবস’ নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে তেমনটা দেখাতো না। ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন ‘বাবা দিবস’কে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হলেও ভালোবাসার আবেদনে নেই একটুও ভিন্নতা। জার্মান ভাষায় বাবা শব্দটি হচ্ছে ‘ফ্যাট্যা’ আর ড্যানিশ ভাষায় ‘ফার’। আফ্রিকান ভাষায় ‘ভাদের’ বলা হয় বাবাকে। চীনারা বাবাকে ডাকেন ‘বা’ বলে। কানাডিয়ান ভাষায় বাবা হচ্ছেন ‘পাপা’ আর ক্রোয়েশিয়ান ভাষায় ‘ওটেক’। পর্তুগিজ ভাষায় বাবা ডাক হচ্ছে ‘পাই’। ডাচ ভাষায় পাপা, ভাডের আর পাপাই এই তিনটি হচ্ছে বাবা ডাক। সবচাইতে বেশি প্রতিশব্দ ইংরেজি ভাষাতে। ইংরেজরা বাবাকে ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পাপা বলে ডাকেন। ফিলিপিনো ভাষাও কম যায় না, এই ভাষায় বাবা হচ্ছেন তাতেই, ইতেই, তেয় আর আমা। হিব্রু ভাষায় বাবা হচ্ছে ‘আব্বাহ্‌’। হিন্দি ভাষার বাবা ডাকটি হলো ‘পিতাজী’। আবার ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় ‘বাপা’ কিংবা ‘আইয়্যাহ’। জাপানিরা তাদের ভাষায় বাবাকে ডাকেন ওতোসান, পাপা। পুর্ব আফ্রিকায় অবশ্য বাবাকে ‘বাবা’ বলেই ডাকা হয়। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় ‘পাপা’ ছাড়াও বাবা শব্দের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে, যেমন- আপা, আপু, এদেসাপা।

‘বাবা দিবস’ পালনের ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় বৈচিত্র্য। এদিন ছেলেমেয়েরা তাদের বাবাকে কোনো না কোনো উপহার দিতে খুব পছন্দ করেন। আর বাবারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে উপহার পেয়ে বেশ অভিভূত হন। এ গিফট দেয়ার ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় ভিন্নতা। কোনো কোনো দেশে ছেলেমেয়েরা বাবাকে কার্ড বা ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে ‘বাবা দিবস’ এর শুভেচ্ছা জানান। আবার কোথাও কোথাও বাবাকে ছেলেমেয়েরা নেকটাই ও উপহার দেন। অনেকে আবার ‘বাবা দিবস’ উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজনও করেন। অনেকে বাবাকে উপহার দেন মগ, কলম, পোশাক ইত্যাদি।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। দিনটিকে ঘিরে সন্তানরা বাবার জন্য করেন নানা আয়োজন। নতুন প্রজন্মের কাছে মা দিবস-বাবা দিবসের ধারণাগুলো দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাজার কষ্ট সয়ে তিলে তিলে যে সন্তানকে বড় করেছেন একজন বাবা, তাকে ঘিরেই এদিন হয় ব্যতিক্রমী উৎসব।

দিবসটিকে সামনে রেখে পাঞ্জাবির দোকান, কার্ডের দোকান, ফুলের দোকানে, উপহারের দোকানে ভিড় জমান সন্তানরা। বাবাকে এই দিবসে শ্রেষ্ঠ উপহার দেওয়া নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা। সব বয়সীরাই এই দিনটিতে তার বাবাকে একটি সুন্দর উপহার কিংবা একটু সঙ্গ দেওয়ার জন্য আগে থেকেই নানা পরিকল্পনা করে থাকেন।

ইদানিং ‘বাবা দিবস’ ছড়িয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। অনেকেই বাবার সঙ্গে তোলা ছবিকে নিজের প্রোফাইল বা কাভার ছবিতে রাখেন, স্ট্যাটাস লিখে প্রকাশ করেন বাবার জন্য ভালোবাসা। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারাও এদিন করেন স্মৃতিচারণ।

সব মিলিয়ে ‘বাবা দিবস’ উদযাপন এখন বেশ প্রচলিত। সবাই এদিনটিতে চান বাবাকে না বলা অনেক কথা বলতে, বাবার প্রতি নিজের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশ করতে। এদিন বাবাকে জানিয়ে দিতে চান- ভালোবাসি বাবা!

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
১২৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের মানুষ কল্পনাও করেনি যে কেবল চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত ‘জুলাই বিদ্রোহে’ রূপ নেবে। গত বছরের ১ জুলাই বাংলাদেশ এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হয়। এদিন শিক্ষার্থীদের ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ রূপ নেয়। এটি ছিল প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সূচনাবিন্দু। মানুষ কল্পনাও করেনি যে শুরুতে কেবল চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত ‘জুলাই বিদ্রোহে’ রূপ নেবে, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ছাত্রদের এই অসন্তোষের সূচনা ঘটে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের সরকারি প্রজ্ঞাপনকে হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করার রায়ের পর। সরকার ২০১৮ সালে তীব্র ছাত্র আন্দোলনের চাপে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনঃপ্রবর্তিত হয়, যাতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলার জন্য ১০ শতাংশ, সংখ্যালঘুদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়। ছাত্ররা এই ব্যবস্থাকে মেধাবীদের প্রতি বৈষম্য হিসেবে মনে করে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। সরকার প্রতিবাদকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে চাইলে পরিস্থিতি বিদ্রোহে রূপ নেয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারপন্থী সন্ত্রাসীরা একযোগে আক্রমণ চালালে অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন নিহত এবং প্রায় ২০ হাজার জন আহত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে নিষ্ঠুর দমনপীড়ন। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই জুলাই বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই ২০০৮ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। ২০২৪ সালের ১ জুলাই এই আন্দোলন পুরো মাত্রায় শুরু হলেও এর গোড়াপত্তন ঘটে ৫ জুন। ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাস্তায় নামে। আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ‘জুলাই : মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইতে লিখেছেন, ‘৫ জুন বিকেলে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে চানখারপুলে স্কুটি মেরামত করাচ্ছিলাম। তখন ফেসবুকে দেখি- হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহাল করেছে। মনে হলো ২০১৮ সালের অর্জনগুলো ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে।’ এরপর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচির সূচনা হয়। রাত সাড়ে ৭টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’ ব্যানারে একটি মিছিল বের হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে তা শেষ হয়। এই সমাবেশে তারা হাইকোর্টের রায়কে ‘মেধাবীদের সাথে তামাশা’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম পরদিন ৬ জুন বিকেল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশের ঘোষণা দেন। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় শ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই মিছিলে অংশ নেয় এবং স্লোগান দেয়- ‘কোটা পদ্ধতি মানি না’, ‘হাইকোর্টের রায় মানি না’, ‘কোটা বাতিল করতেই হবে’। আসিফের বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করে নাহিদও ৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাদের প্রথম বৈঠকের কথা এবং কিভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন তা স্মরণ করেন। নাহিদ পরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঈদুল আজহার ছুটির আগে মাত্র তিন দিন আন্দোলনের সুযোগ পেয়েছিলাম।’ ৬ জুন ঢাবি, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জগন্নাথসহ দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে। ৯ জুন শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করে অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। শুনানির দিন ধার্য হয় ৪ জুলাই। ১০ জুন আবারো মিছিল হয় এবং শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৩০ জুনের মধ্যে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল করতে আল্টিমেটাম দেয়, না হলে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দেয়। আসিফ স্মরণ করেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছিল, তাই আমরা সেই দিনটিকে আল্টিমেটামের সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করি। আমরা সরকারকে সতর্কও করেছিলাম- যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা আবার আন্দোলন শুরু করব।’ ৩০ জুন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসায় ১ জুলাই ঢাবি, জগন্নাথ, জাবি, রাবি, চবি, বরিশাল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করে, যা রাজু ভাস্কর্যে শেষ হয়। সমাবেশ থেকে নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন, আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও পরীক্ষার বর্জন চলবে। তিনি তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন- ২ জুলাই দেশব্যাপী মহাসড়কে মিছিল, ৩ ও ৪ জুলাই রাজধানীর রাজু ভাস্কর্যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ। সমাবেশে নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন- ৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলবে। সেই সাথে তিনি চারটি দাবি উত্থাপন করেন- ১. দ্রুত কোটা সংস্কারে কমিশন গঠন, যেন পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়। ২. কোটা পূরণ না হলে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করা। ৩. নিয়োগে একাধিকবার কোটা সুবিধা ব্যবহার বন্ধ করা। ৪. প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

বাবার জন্য দিন, ‘বাবা দিবস’

আপডেট সময় ০৯:০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাবাকে ভালোবাসার জন্যে কি শুধুই একটি দিন? বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ তো প্রতিদিনই ঘটে। প্রশ্ন উঠুক, তবু পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিন বাবার জন্য রেখে দিতে চায়, যেমনটা রাখা হয় মায়ের জন্য। তাই আজ বাবা দিবস, শুধু বাবার জন্য একটি বিশেষ দিন।

বিশ্বের প্রায় ৫২টি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়। পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রোববার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। এই ধারাবাহিকতায় এ বছর ১৬ জুন দিবসটি পালিত হচ্ছে।

‘বাবা দিবস’ পালন শুরু হয় গত শতাব্দীর শুরুর দিকে। উদ্দেশ্য একটাই- পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি সন্তানদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশ। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই সর্বপ্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয় আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায়।

পৃথিবীব্যাপী ‘বাবা দিবস’ উদযাপন হয় ব্যাপক আয়োজনে মধ্য দিয়ে। তবে শুরুর দিকে কিন্তু এতোটা আয়োজন ছিলো না। আসলে ‘মা দিবস’ নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে তেমনটা দেখাতো না। ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন ‘বাবা দিবস’কে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হলেও ভালোবাসার আবেদনে নেই একটুও ভিন্নতা। জার্মান ভাষায় বাবা শব্দটি হচ্ছে ‘ফ্যাট্যা’ আর ড্যানিশ ভাষায় ‘ফার’। আফ্রিকান ভাষায় ‘ভাদের’ বলা হয় বাবাকে। চীনারা বাবাকে ডাকেন ‘বা’ বলে। কানাডিয়ান ভাষায় বাবা হচ্ছেন ‘পাপা’ আর ক্রোয়েশিয়ান ভাষায় ‘ওটেক’। পর্তুগিজ ভাষায় বাবা ডাক হচ্ছে ‘পাই’। ডাচ ভাষায় পাপা, ভাডের আর পাপাই এই তিনটি হচ্ছে বাবা ডাক। সবচাইতে বেশি প্রতিশব্দ ইংরেজি ভাষাতে। ইংরেজরা বাবাকে ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পাপা বলে ডাকেন। ফিলিপিনো ভাষাও কম যায় না, এই ভাষায় বাবা হচ্ছেন তাতেই, ইতেই, তেয় আর আমা। হিব্রু ভাষায় বাবা হচ্ছে ‘আব্বাহ্‌’। হিন্দি ভাষার বাবা ডাকটি হলো ‘পিতাজী’। আবার ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় ‘বাপা’ কিংবা ‘আইয়্যাহ’। জাপানিরা তাদের ভাষায় বাবাকে ডাকেন ওতোসান, পাপা। পুর্ব আফ্রিকায় অবশ্য বাবাকে ‘বাবা’ বলেই ডাকা হয়। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় ‘পাপা’ ছাড়াও বাবা শব্দের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে, যেমন- আপা, আপু, এদেসাপা।

‘বাবা দিবস’ পালনের ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় বৈচিত্র্য। এদিন ছেলেমেয়েরা তাদের বাবাকে কোনো না কোনো উপহার দিতে খুব পছন্দ করেন। আর বাবারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে উপহার পেয়ে বেশ অভিভূত হন। এ গিফট দেয়ার ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় ভিন্নতা। কোনো কোনো দেশে ছেলেমেয়েরা বাবাকে কার্ড বা ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে ‘বাবা দিবস’ এর শুভেচ্ছা জানান। আবার কোথাও কোথাও বাবাকে ছেলেমেয়েরা নেকটাই ও উপহার দেন। অনেকে আবার ‘বাবা দিবস’ উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজনও করেন। অনেকে বাবাকে উপহার দেন মগ, কলম, পোশাক ইত্যাদি।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। দিনটিকে ঘিরে সন্তানরা বাবার জন্য করেন নানা আয়োজন। নতুন প্রজন্মের কাছে মা দিবস-বাবা দিবসের ধারণাগুলো দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাজার কষ্ট সয়ে তিলে তিলে যে সন্তানকে বড় করেছেন একজন বাবা, তাকে ঘিরেই এদিন হয় ব্যতিক্রমী উৎসব।

দিবসটিকে সামনে রেখে পাঞ্জাবির দোকান, কার্ডের দোকান, ফুলের দোকানে, উপহারের দোকানে ভিড় জমান সন্তানরা। বাবাকে এই দিবসে শ্রেষ্ঠ উপহার দেওয়া নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা। সব বয়সীরাই এই দিনটিতে তার বাবাকে একটি সুন্দর উপহার কিংবা একটু সঙ্গ দেওয়ার জন্য আগে থেকেই নানা পরিকল্পনা করে থাকেন।

ইদানিং ‘বাবা দিবস’ ছড়িয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। অনেকেই বাবার সঙ্গে তোলা ছবিকে নিজের প্রোফাইল বা কাভার ছবিতে রাখেন, স্ট্যাটাস লিখে প্রকাশ করেন বাবার জন্য ভালোবাসা। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারাও এদিন করেন স্মৃতিচারণ।

সব মিলিয়ে ‘বাবা দিবস’ উদযাপন এখন বেশ প্রচলিত। সবাই এদিনটিতে চান বাবাকে না বলা অনেক কথা বলতে, বাবার প্রতি নিজের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশ করতে। এদিন বাবাকে জানিয়ে দিতে চান- ভালোবাসি বাবা!