ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরে অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত কায়কোবাদ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে করা মিথ্যা মামলায় খালাস পেয়ে ১৩ বছর পর প্রবাস জীবনের ইতি টেনে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বদেশে ফিরছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে ৫ বারের নির্বাচিত সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

সৌদি আরব থেকে রওনা দিয়ে বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে বিমানযোগে স্বদেশে অবতরণ করেন তিনি। পরে, বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন কায়কোবাদ।

এর আগে সকাল থেকেই কুমিল্লা বিমানবন্দরে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির ভাষ্যমতে, এদিন প্রায় দুই হাজার মাইক্রোবাস মুরাদনগর থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। প্রায় অর্ধ লক্ষ নেতাকর্মী তাদের প্রিয় নেতাকে বরণ করতে জড়ো হোন সেখানে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিমানবন্দরের সি.এন্ড.এফ ভবনের সামনের মাঠ ইজারাদার কর্তৃক বরাদ্দ নিয়েছেন তারা।

এদিকে, নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতাকে এক যুগ পর সরাসরি দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। পরে, বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে কায়কোবাদের গাড়িবহর শেরে বাংলা নগর ‘জিয়া উদ্যান’ প্রাঙ্গনে যান। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মোফাজ্জ্বল হোসাইন কায়কোবাদ শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এসময়, বিএনপির এই নেতা দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন ও শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্য দোয়া কামনা করেন। পরে, জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ বলেন, যারা আন্দোলনে আহত হয়েছেন শাহাদাত বরণ করেছেন এবং লড়াই করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যারা ৭১ এর স্বাধীনতা ও বর্তমান স্বাধীনতায় শহীদ হয়েছেন আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করি। আমরা যারা একত্বের জন্য স্বাধীনতা করেছিলাম, তারা যদি স্বার্থের কারণে আজ বিভক্ত হই তাহলে ৯৬ ও ২০০১ সালের মতো ঘটনা আবারো ঘটবে। লগি-বৈঠার আন্দোলন হতে পারে। আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

এসময় সংস্কার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার করবে গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণ সরকার নির্বাচন করবে এবং সেই সরকারই সংস্কার করবে। ড. ইউনুস নিশ্চয়ই একজন ভালো মানুষ। আমরা ভাগ্যবান যে উনার মত একজন মানুষকে আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে পেয়েছি। এটা আল্লাহর রহমত এবং আল্লাহর দয়ার কারণেই হয়েছে। উনি আমাদের অবস্থা বুঝবে কারণ উনি নিজেও মিথ্যা মামলার আসামি। উপদেষ্টা পরিষদে একজন বা দুইজন এমন রয়েছে, যারা মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হয়েছে। একমাত্র তারাই আমাদের কষ্ট বুঝবে আর বাকিরা বুঝবে না। আপনারা দোয়া করবেন আল্লাহ যাতে আমাদের এমন তৌফিক দান করে যাতে আমরা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করতে না হয়।

বিএনপি’র এই নেতা আরো বলেন, আমার আরেকটি অনুরোধ থাকবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমাদের ভুলের কারণে অনেককে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছিল। ৯৬ সালে আমাদের ভুলের কথা যদি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসলামী দলগুলো যদি ভুল না করতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় আসতো না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মূলে কি ছিলো, সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ আরো বলেন, জালেম সরকারের সময় যেভাবে গুম খুন চাঁদাবাজি করা হতো এর পূনরাবৃত্তি হলে আমাদেরকে আবারো ভুগতে হবে এগুলো থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে হবে। আমার নেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। উনি যে জুলুম, অত্যাচারের সহ্য করেছেন তা আর কেউ করে নাই। খালেদা জিয়ার চাইতে বেশী কষ্ট কেউ করে নাই। এই সবকিছুর জন্য দায়ী ফ্যাসিবাদ সরকার। তাই সবাই বেগম জিয়ার জন্য দুয়া করবেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মী জেলে গিয়েছেন আবার ছাড়াও পেয়েছেন। কিন্তু বেগম জিয়া একবার জেলে গিয়ে তিনি আর ছাড়া পান নাই। তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারেন নাই৷ এই সরকার আসার পরে ছাড়া পেয়েছেন। তাই আমি বলব সবচেয়ে বেশি কষ্ট তিনি ভোগ করেছেন৷

জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব কেমন ছিলেন আপনারা জানেন। আমি আমার দলের নেতাকর্মীদেরকে অনুরোধ করব শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শকে আপনারা ধারণ করেন। জিয়াউর রহমানকে কেউ বলতে পারেবে না তিনি এক পয়সা কারো থেকে খেয়েছেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে আমাদের। উনার মত কেউ একজন এসে বাংলাদেশের শাসন ভার নিক এই দোয়া করি আমি।

সর্বশেষ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ করবো বাংলাদেশে আবার যেন আওয়ামী লীগের মতো জুলুম অত্যাচার না হয়৷ বাংলাদেশে যাতে কোনো চাঁদাবাজি না হয়। যারা আমাদের দলের মধ্যে এগুলো করবে তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

এদিকে, বিএনপির এই প্রবীণ নেতা আলহাজ্ব শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার বইছে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক আনন্দ উল্লাস করেন।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল ভূঁইয়া বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের মিথ্যা মামলায় মুক্তি পেয়ে আমাদের নেতা আবারো ওনার প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে এসেছেন। আমরা মুরাদনগর বাসী আজ ব্যাপক খুশি।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা মুরাদনগর থেকে লক্ষাধিক জনতা আজ একত্রিত হয়েছি শুধুমাত্র প্রিয় নেতাকে বরণ করবো বলে। কায়কোবাদ দাদা আমাদের অহংকার। একযুগ পরে আমরা দাদাকে আমাদের কাছে পেয়েছি। এ আনন্দ বলে বুঝানোর মত নয়।

এদিকে দিনব্যাপী ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও মুরাদনগর এর বিভিন্ন স্তরের জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
১ বার পড়া হয়েছে

বিমানবন্দরে অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত কায়কোবাদ

আপডেট সময় ০৯:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে করা মিথ্যা মামলায় খালাস পেয়ে ১৩ বছর পর প্রবাস জীবনের ইতি টেনে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বদেশে ফিরছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে ৫ বারের নির্বাচিত সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

সৌদি আরব থেকে রওনা দিয়ে বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে বিমানযোগে স্বদেশে অবতরণ করেন তিনি। পরে, বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন কায়কোবাদ।

এর আগে সকাল থেকেই কুমিল্লা বিমানবন্দরে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির ভাষ্যমতে, এদিন প্রায় দুই হাজার মাইক্রোবাস মুরাদনগর থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। প্রায় অর্ধ লক্ষ নেতাকর্মী তাদের প্রিয় নেতাকে বরণ করতে জড়ো হোন সেখানে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিমানবন্দরের সি.এন্ড.এফ ভবনের সামনের মাঠ ইজারাদার কর্তৃক বরাদ্দ নিয়েছেন তারা।

এদিকে, নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতাকে এক যুগ পর সরাসরি দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। পরে, বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে কায়কোবাদের গাড়িবহর শেরে বাংলা নগর ‘জিয়া উদ্যান’ প্রাঙ্গনে যান। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মোফাজ্জ্বল হোসাইন কায়কোবাদ শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এসময়, বিএনপির এই নেতা দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন ও শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্য দোয়া কামনা করেন। পরে, জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ বলেন, যারা আন্দোলনে আহত হয়েছেন শাহাদাত বরণ করেছেন এবং লড়াই করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যারা ৭১ এর স্বাধীনতা ও বর্তমান স্বাধীনতায় শহীদ হয়েছেন আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করি। আমরা যারা একত্বের জন্য স্বাধীনতা করেছিলাম, তারা যদি স্বার্থের কারণে আজ বিভক্ত হই তাহলে ৯৬ ও ২০০১ সালের মতো ঘটনা আবারো ঘটবে। লগি-বৈঠার আন্দোলন হতে পারে। আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

এসময় সংস্কার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার করবে গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণ সরকার নির্বাচন করবে এবং সেই সরকারই সংস্কার করবে। ড. ইউনুস নিশ্চয়ই একজন ভালো মানুষ। আমরা ভাগ্যবান যে উনার মত একজন মানুষকে আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে পেয়েছি। এটা আল্লাহর রহমত এবং আল্লাহর দয়ার কারণেই হয়েছে। উনি আমাদের অবস্থা বুঝবে কারণ উনি নিজেও মিথ্যা মামলার আসামি। উপদেষ্টা পরিষদে একজন বা দুইজন এমন রয়েছে, যারা মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হয়েছে। একমাত্র তারাই আমাদের কষ্ট বুঝবে আর বাকিরা বুঝবে না। আপনারা দোয়া করবেন আল্লাহ যাতে আমাদের এমন তৌফিক দান করে যাতে আমরা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করতে না হয়।

বিএনপি’র এই নেতা আরো বলেন, আমার আরেকটি অনুরোধ থাকবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমাদের ভুলের কারণে অনেককে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছিল। ৯৬ সালে আমাদের ভুলের কথা যদি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসলামী দলগুলো যদি ভুল না করতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় আসতো না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মূলে কি ছিলো, সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ আরো বলেন, জালেম সরকারের সময় যেভাবে গুম খুন চাঁদাবাজি করা হতো এর পূনরাবৃত্তি হলে আমাদেরকে আবারো ভুগতে হবে এগুলো থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে হবে। আমার নেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। উনি যে জুলুম, অত্যাচারের সহ্য করেছেন তা আর কেউ করে নাই। খালেদা জিয়ার চাইতে বেশী কষ্ট কেউ করে নাই। এই সবকিছুর জন্য দায়ী ফ্যাসিবাদ সরকার। তাই সবাই বেগম জিয়ার জন্য দুয়া করবেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মী জেলে গিয়েছেন আবার ছাড়াও পেয়েছেন। কিন্তু বেগম জিয়া একবার জেলে গিয়ে তিনি আর ছাড়া পান নাই। তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারেন নাই৷ এই সরকার আসার পরে ছাড়া পেয়েছেন। তাই আমি বলব সবচেয়ে বেশি কষ্ট তিনি ভোগ করেছেন৷

জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব কেমন ছিলেন আপনারা জানেন। আমি আমার দলের নেতাকর্মীদেরকে অনুরোধ করব শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শকে আপনারা ধারণ করেন। জিয়াউর রহমানকে কেউ বলতে পারেবে না তিনি এক পয়সা কারো থেকে খেয়েছেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে আমাদের। উনার মত কেউ একজন এসে বাংলাদেশের শাসন ভার নিক এই দোয়া করি আমি।

সর্বশেষ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ করবো বাংলাদেশে আবার যেন আওয়ামী লীগের মতো জুলুম অত্যাচার না হয়৷ বাংলাদেশে যাতে কোনো চাঁদাবাজি না হয়। যারা আমাদের দলের মধ্যে এগুলো করবে তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

এদিকে, বিএনপির এই প্রবীণ নেতা আলহাজ্ব শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার বইছে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক আনন্দ উল্লাস করেন।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল ভূঁইয়া বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের মিথ্যা মামলায় মুক্তি পেয়ে আমাদের নেতা আবারো ওনার প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে এসেছেন। আমরা মুরাদনগর বাসী আজ ব্যাপক খুশি।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা মুরাদনগর থেকে লক্ষাধিক জনতা আজ একত্রিত হয়েছি শুধুমাত্র প্রিয় নেতাকে বরণ করবো বলে। কায়কোবাদ দাদা আমাদের অহংকার। একযুগ পরে আমরা দাদাকে আমাদের কাছে পেয়েছি। এ আনন্দ বলে বুঝানোর মত নয়।

এদিকে দিনব্যাপী ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও মুরাদনগর এর বিভিন্ন স্তরের জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।